মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ফাইল চিত্র।
বাকি বিশ্বের তুলনায় ভারত যে বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল, তা প্রমাণ করতে গিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ভোপালে বসেছে অষ্টম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের আসর। সেখানে অন্যতম প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিবরাজ। বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি জানান, আদিকাল থেকেই ভারত বিজ্ঞানমনস্ক ছিল। এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, রাইট ভাইয়েরা ১৯১৯ সালে আধুনিক বিমান তৈরি করার অন্তত ৭,০০০ বছর আগেই রামায়ণে পুষ্পক রথের উল্লেখ পাওয়া যায়। শিবরাজের এই মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। বিজ্ঞান উৎসবের মঞ্চে তিনি পৌরাণিক আখ্যানকে বিজ্ঞান বলে দাবি করার চেষ্টা করছেন, এই অভিযোগও ওঠে।
শিবরাজ জানান, পশ্চিমি দেশগুলি অনেক পরে বিজ্ঞানের সংস্পর্শে এসেছে। তাই পশ্চিমের উন্নত দেশগুলি ভারতকে বিজ্ঞানের পাঠ দিয়েছে, এমন ধারণা থেকে সকলকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি। ভারত বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে তা প্রতিফলিত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “যোগ্য নেতার নেত়ৃত্বেই ভারত কোভিডের মতো অতিমারিকে রুখতে পেরেছে।” বিজ্ঞানচর্চায় ভারতের প্রাচীনত্বের কথা বলতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা মহর্ষি কণাদের ‘পরমাণুবাদ’, ভাস্করাচার্যের জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত তত্ত্বের কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, “জন ডালটন পরমাণু তত্ত্ব আবিষ্কার করার ২,০০০ বছর আগেই মহর্ষি কণাদ তাঁর পরমাণু তত্ত্বকে হাজির করেছিলেন।” শিবরাজ জানান, চিকিৎসাবিদ্যার দুই কেন্দ্র ছিল বারাণসী এবং তক্ষশীলা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যখন এ সব বলছেন, তখন সামনে বসে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা বিজ্ঞানী, গবেষকরা।
এর পাশাপাশি শিবরাজ জানান, কৌতূহল ছাড়া বিজ্ঞানের সাধনা হয় না। কৌতূহলই মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এ-ও জানান যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যাবতীয় সিদ্ধান্তের মূলে থাকে বিজ্ঞান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে তিনি শিবরাজ বলেন, “ভারতের উজ্জ্বল অতীত নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আবার ফিরছে। আপনারা মন দিয়ে বিজ্ঞানচর্চা চালিয়ে যান।”