হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ফের ক্যাম্পাসের দরজা খোলার কথা ভাবছে হার্ভার্ড এবং প্রিন্সটনের মতো মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে প্রতিষ্ঠানের দ্বার খুললেও একসঙ্গে ক্লাসরুমে ফেরা হবে না ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্নাতক স্তরে একমাত্র প্রথমবর্ষের পড়ুয়াদের অগ্রাধিকার দিয়ে মোট ৪০% ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রায় একই ঘোষণা করেছে প্রিন্সটনও। একই সঙ্গে ১০% টিউশন-ফি মকুব করার ঘোষণাও করেছেন কর্তৃপক্ষ।
আগামী বেশ কিছু দিনের জন্য অন্তত ক্যাম্পাসে যথাসম্ভব কম সমাগমের দিকেই নজর দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। হার্ভার্ড যেমন জানিয়ে দিয়েছে, এ বার থেকে সব কোর্সই অনলাইনে পড়ানো হবে। প্রিন্সটনও বেশির ভাগ পঠনপাঠন অনলাইনে করাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার এল. ইসগ্রুবার সোমবার বলেন, ‘‘যেমন তথ্য পাচ্ছি, তাতে আগামী বেশ কয়েকদিন এই পদ্ধতিই অনুসরণ করে চলতে হবে আমাদের।’’
ক্যাম্পাসে ফেরার পর প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীদের বাধ্যতামূলক ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। এ ছাড়াও সিমেস্টার জুড়ে বিশেষ নজর দেওয়া হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর। সকলে যাতে বিধি মেনে চলেন তার জন্য ক্যাম্পাসে ফেরা-মাত্র সব ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ‘সোশ্যাল কনট্র্যাক্ট’-এ সই করিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রিন্সটন। ক্যাম্পাসের ভিতরে সর্বক্ষণ মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ জোর দেওয়া হবে দূরত্ব বিধি মেনে চলার উপরেও। এ দিকে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, ছাত্রাবাসের মধ্যেই কোয়ারান্টিনের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা রাখছেন তাঁরা।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ও জানিয়েছে, এই সিমেস্টারে প্রথম বর্ষ ছাড়া অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফেরানো হচ্ছে না। পরবর্তী সিমেস্টারে আবার প্রথমবর্ষদের বাদ রেখে ফেরানো হবে বাকিদের।