Turtle

Turtle: জিপিএস ট্র্যাকার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া কচ্ছপ উদ্ধার বাংলাদেশের খুলনায়

অতি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ (রিভার টেরাপিন)-র জীবনচক্র জানতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ২৩:১১
Share:

বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ ফাইল চিত্র।

সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া অতি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপের সন্ধান মিলল বাংলাদেশের খুলনায়। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের উদ্যোগে জঙ্গলের গভীরে ছাড়া হয়েছিল ১০টি কচ্ছপ।

Advertisement

অতি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ (রিভার টেরাপিন)-র জীবনচক্র জানতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর। প্রথম বার আইইউসিএন-এর লাল তালিকায় ঠাঁই পাওয়া কচ্ছপের দেহে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া হয়েছিল। তারই একটিকে বাংলাদেশের সুন্দরবন সন্নিহিত জেলা খুলনার দিঘলিয়া থেকে গত শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, গাজিরহাট এলাকার এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ে কচ্ছপটি। খবর পেয়ে বাংলাদেশের বনকর্মীরা এসে সেটি উদ্ধার করেন। বন দফতর সূত্রের খবর, এক সময়ে সুন্দরবন থেকে শুরু করে মায়ানমার, তাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া উপকূল পর্যন্ত এই বিশেষ ধরনের কচ্ছপের বসতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে এরা বিলুপ্তপ্রায়। সজনেখালিতে একটি পুকুর তৈরি করে সেখানে কয়েক বছর ধরে এই প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ ও প্রজননের ব্যবস্থা করেছে ব্যাঘ্র প্রকল্প। ১২টি কচ্ছপকে সংরক্ষণের পরে আপাতত তাদের ছানাপোনা-সহ মোট সংখ্যাটা ৩৭০। দোবাঁকি, খাটোয়াঝুড়ি ও হরিখালিতেও এই প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণ ও প্রজননের ব্যবস্থা করেছে বন দফতর।

Advertisement

সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, প্রজননে সক্ষম বাটাগুড় বাসকা প্রজাতির ১০টি কচ্ছপকে সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া হয় জানুয়ারিতে। যার মধ্যে ৭টি স্ত্রী এবং ৩টি পুরুষ কচ্ছপ। এদের গতিপ্রকৃতির উপরে নজরদারি চালাতে শরীরে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement