শি জিনপিং। —ফাইল ছবি।
এক দশক পরে চিনের সরকারি কর্মীদের এক লাফে অনেকটা মাইনে বাড়ল। সরকারি কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই শি জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে চিনের প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবেন।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই জিনপিং সরকার এই পদক্ষেপ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দর বাড়াতে ‘মুদ্রাসঙ্কোচন’ নীতি চালু করেছিল বেজিং। ফলে ইউয়ানের দাম ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছিল। ইউয়ানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চিনে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন কমছে। বাজারে জিনিসের জোগান রয়েছে। কিন্তু কমেছে চাহিদা। জনগণ সঞ্চয়ী হয়ে পড়ছিলেন।
এই বেতনবৃদ্ধির ফলে চিন সরকারের বাড়তি খরচ হবে ১২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা) থেকে ২০০০ কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা)। প্রায় পাঁচ কোটি সরকারি কর্মীর এক লাফে এই বেতনবৃদ্ধির ফলে চিনের অভ্যন্তরীণ বাজারে টাকার জোগান বাড়ার সম্ভাবনা। ফলে চাঙ্গা হবে অর্থনীতি। একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সরকার এর আগে ২০১৫ সালে শেষ বার সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছিল।