—প্রতীকী ছবি।
২ বছরের কন্যাসন্তান অরিহা শাহকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফেরানোর আবেদন খারিজ করে দিল জার্মানির আদালত। তৃতীয় পক্ষ হিসাবে ‘দ্য ইন্ডিয়ান ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেসে’র হাতেও অরিহাকে তুলে দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গত ১৩ জুন প্যানকোতে জেলা আদালত অরিহার বাবা ভবেশ শাহ এবং মা ধারা শাহের আবেদন খারিজ করেছে। ফলে নিজের কন্যাকে ফিরে পেতে ওই ভারতীয় দম্পতির লড়াই আরও কঠিন হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নরওয়ের বাসিন্দা সাগরিকা চক্রবর্তী নিজের জীবনযুদ্ধ নিয়ে লেখা ‘দ্য জার্নি অফ আ মাদার’ বইটিকে ভিত্তি করে, চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে রানি মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনীত ছবি ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। এই ছবিতে সন্তানকে ফিরে পেতে এক মায়ের লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটল এ বার জার্মানে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২৭ মাস বয়স ছিল অরিহার। যথাযথ দেখাশোনা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে জার্মানিবাসী ভারতীয় দম্পতি ভবেশ ও ধারা শাহের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁদের সন্তানকে।
জার্মানির আদালত অরিহার দু’টি আঘাতের কথা উল্লেখ করেছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে অরিহার মাথা এবং পিছনে আঘাত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অরিহার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলেও জানিয়েছে আদালত।আদালতের এই রায়ের পর গত ১৫ জুন বার্লিন থেকে নয়াদিল্লি ফিরেছেন অরিহার বাবা-মা। অবিলম্বে যাতে তাঁদের কন্যাকে ফেরানো হয়, সে ব্যাপারে ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ওই দম্পতি।
এর আগে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছিলেন, ‘‘আমরা বার বার জোর দিয়ে বলছি, অরিহা শাহ ভারতীয় নাগরিক। কোন জায়গায় পালক পিতা-মাতার কাছে থাকবে সে, তার উপর নির্ভর করছে শিশুটির সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাড়বৃদ্ধি। জার্মান সরকারের কাছে আর্জি, অরিহাকে দ্রুত ভারতে ফেরানো হোক। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে সেই অধিকার তার রয়েছে। সেটা যাতে হয়, তা আমরা নিশ্চিত করব।’’ অরিহাকে ভারতে ফেরাতে পদক্ষেপ করতে ভারতে জার্মানের রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন ১৯টি দলের ৫৯ জন সাংসদ।