বরিস জনসন। —ফাইল চিত্র।
করোনায় লকডাউন বিধি ভেঙে পার্টি করার জের পিছু ছাড়ছে না বরিস জনসনের। প্রবল চাপের মুখে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ খুইয়েছেন আগেই। গত শুক্রবার এমপি-র পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আপাতত বরিসের ছেড়ে দেওয়া এমপি আসনের জন্য নতুন করে ভোট হবে ২০ জুলাই। ওই আসনে বেছে নেওয়া হবে নতুন এমপিকে।
তবে তাতে মোটেই চাপা পড়ছে না তদন্ত। ব্রিটেন জুড়ে হইচই ফেলে দেওয়া পার্টিগেট কেলেঙ্কারির তদন্তে গত কাল ১০৬ পাতার রিপোর্ট জমা করেছে পার্লামেন্টের তদন্তকারী প্রিভিলেজেস কমিটি। তারা জানিয়েছে, কমিটিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল পথে চালিত করেছেন বরিস। তদন্তকারীদের তিনি বলেছেন, কোভিডের সময় সরকারি বাসভবনের সব জমায়েতে সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে বলেই তাঁর উপদেষ্টারা তাঁকে জানিয়েছিলেন। অথচ বাস্তবে উপদেষ্টারা এমন কথা বলেননি বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে কমিটি গত কালের রিপোর্ট জমা করার আগেই এমপি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ বাঁচাতে আগেভাগেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বরিস। যদিও প্রকাশ্যে তিনি বলেছেন, প্রহসন চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হয়েছে। রাজনীতিবিদেরা বলছেন, মুখে যা-ই বলুন না কেন, আগেভাগে ইস্তফা না দিলে এ দিনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বরিসকে ৯০ দিনের জন্য বরখাস্ত করত পার্লামেন্ট। তাঁর সদস্যপদ পুনরায় বহাল করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের জন্য ফের এমপিদের মধ্যে ভোটাভুটি হত। আগেভাগে বরিস ইস্তফা দেওয়ায় সেই পথে আর এগোতে হবে না পার্লামেন্টকে। নিষেধাজ্ঞার কোপ পড়েছে বরিসের উপরেও। প্রাক্তন এমপি পাস ব্যবহার করেও বরিস আর পার্লামেন্টে ঢুকতে পারবেন না।