কাসেম সোলেমানির হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভারতে নাশকতার ছকে কি ইরানের অন্যতম শীর্ষ সেনাকর্তা কাসেম সোলেমানির মদত ছিল? গতকাল মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের কাডস বাহিনীর শীর্ষকর্তাকে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, ইরানে বসেই কাসেম সোলেমানি দিল্লি ও লন্ডনে হামলায় মদত দিয়েছিলেন।
গত অক্টোবর মাসে পেন্টাগনের নিশানা ছিল আইএস জঙ্গি প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। নতুন বছরের শুরুতেই টার্গেট ইরানের অন্যতম শীর্ষকর্তা কাসেম সোলেমানি। দুটি ক্ষেত্রেই ‘সাফল্য’ মিলেছে। শুক্রবার, ইরানের অন্যতম শীর্ষ সেনাকর্তার মৃত্যুকে ঘিরে অস্থির হয়ে উঠেছে মধ্য প্রাচ্য়ের ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যও। কেন সোলেমানিকে নিশানা করেছিল মার্কিন প্রশাসন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এ বার দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুলে আনলেন দিল্লির নামও। ফ্লরিডার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘বহু নিষ্পাপ মানুষের মৃত্যু জন্য দায়ী কাসেম সোলেমানি। সুদূর দিল্লি ও লন্ডনেও নাশকতার ছকে মদত ছিল তাঁর। আজ আমরা সোলেমানির চালানো হিংসায় নিহতদের স্মরণ করছি, তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। এটা ভেবে শান্তি পাচ্ছি যে সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ তবে, দিল্লিতে কোন হামলার পিছনে সোলেমানির মদত ছিল তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ট্রাম্প। তবে, গত ২০ বছর ধরে মধ্য প্রাচ্য়ে সোলেমানি অস্থিরতা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।
কয়েক দিন আগেই বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। তার জন্য সোলেমানিকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক কালে ইরাকে রকেট হানায় এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর জখম হয়েছিলেন আরও চার মার্কিন নাগরিক। বাগদাদে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের অফিসেও হামলা হয়েছিল। আর এ সবের পিছনে ছিল কাসেম সোলেমানির হাত।’’ শুক্রবারের ড্রোন হামলা নিয়ে কার্যত বুক ঠুকেই ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা হলে অনেকের জীবন বাঁচানো যেত। অতি সম্প্রতি ইরানে বিক্ষোভকারীদের দমনপীড়ন করা হয়েছিল সোলেমানির নেতৃত্বেই। তাতে কয়েক হাজার নিষ্পাপ মানুষকে অত্যাচার করা হয়েছিল ও মেরে ফেলা হয়েছিল।’’
আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় হত ইরানের সেনাকর্তা
আরও পড়ুন: পক্ষ নেওয়া সম্ভব নয়, উদ্বিগ্ন দিল্লি
অন্যদিকে, শুক্রবারের হামলার রেশ থাকতে থাকতেই শনিবার নতুন করে হামলা চালানো হয় মার্কিন ড্রোন। ইরাকের আধাসেনা বাহিনী হাশেদ-আল-শবাবির একটি কনভয়ে হামলা চলে। তবে এই হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।