গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আকাশযুদ্ধে প্রথম বার অংশ নিল ফ্রান্সে তৈরি যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকারকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য কিভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শুক্রবার সফল ভাবে রুশ ড্রোন এবং বিমানহানা প্রতিরোধ করেছে ফ্রান্সে তৈরি ওই যুদ্ধবিমান।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণার পরেই সক্রিয় হয়েছে ইউরোপ। শুক্রবার বেলজ়িয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বৈঠকে ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঋণনীতি শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইইউ বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ-এর সদস্যেরা মিলে ১৫ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণ নেবে। এর বড় অংশ ব্যয় হবে ইউক্রেনের সামরিক সাহায্যে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ইইউ বৈঠকে কিভকে সহায়তা বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে বলেছিলেন, ‘‘ইউক্রেনে যা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়াতেই হবে।’’ সূত্রের খবর, জ়েলেনস্কি সেনার সাহায্যে কিছু দিন আগেই ফ্রান্স থেকে এসেছিল মিরাজ-২০০০।
আমেরিকার প্রস্তাব মেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় রাজি হলেও ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা কমায়নি মস্কো। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানাচ্ছে, শুক্রবার থেকে রাশিয়া অন্তত ৫৪টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ২০০ বার ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হয়েছে বিমানহামলাও। পূর্বের খারকিভ থেকে পশ্চিমের টারনোপিল পর্যন্ত ইউক্রেনের জ্বালানি পরিকাঠামোগুলি ধ্বংস করতে সক্রিয় রুশ ফৌজ। আর সেই উদ্যোগ ভেস্তে দিতেই ব্যবহার করা হচ্ছে মিরাজ-২০০০। রাফালের মতোই ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমানের নির্মাতা। আশির দশকের শেষপর্বে রাশিয়া থেকে মিগ-২৯-এর পাশাপাশি ফ্রান্স থেকে মিরাজ-২০০০ কিনেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এখনও সেগুলি বায়ুসেনার ‘বজ্র স্কোয়াড্রন’-এর মূল হাতিয়ার।