ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আমূল বদলে যায়। ছবি: রয়টার্স।
২৩ ডিসেম্বর দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১ হাজার ৬০৮। ২৬ ডিসেম্বর সেই সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়ানোয় দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেন। তার পরই ফ্রান্স। সংক্রমণের গতি দেখে কয়েক দিন আগেই সরকার ঘোষণা করেছিল খুব শীঘ্রই এক লক্ষ ছাড়াবে দৈনিক সংক্রমণ। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই মাত্র দু’দিনের ব্যবধানেই দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এক লক্ষ চার হাজার ৬১১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে টানা তিন দিন দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড করল ফ্রান্স। ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ ইউরোপের দেশগুলিতে। কোভিডের এই নতুন রূপের প্রভাবে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তায় ফরাসি প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই সেখানে পূর্ণবয়স্কদের বুস্টার টিকার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সরকার থেকে ‘ভ্যাকসিন পাস’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পাস তাঁদেরই দেওয়া হচ্ছে যাঁদের দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রেস্তরাঁ, ক্যাফে বা বিদেশ ভ্রমণের জন্য এই পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দু’টি টিকা নেওয়া না থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহর আলাদা আলাদ ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতো নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ করা শুরু করেছে। যেমন স্যাভয়েতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যান্য শহরও নিজেদের মতো করে নানা পদক্ষেপ করছে।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণের ছবিটা আমূল বদলে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর এক লাফে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এ দেশে মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষ ২৩ হাজার মানুষের।
ব্রিটেনে সংক্রমণের ছবিটাও প্রায় একই রকম। সে দেশে এক দিনে করোনা-আক্রান্ত এক লক্ষ ১৯ হাজার বাসিন্দা। এই নিয়ে পর পর দু’দিন দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে অতিমারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেন। এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক লক্ষ ৪৭ হাজার ৭২০ জনের।