চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং আমেরিকার প্রাক্তন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও। ফাইল চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিদেশ সচিব হিসাবে কয়েক ডজন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কাছ থেকে দেখেছেন তাঁদের। আমেরিকার সেই প্রাক্তন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও জানিয়েছেন তাঁর দেখা সেই রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সবচেয়ে বিরক্তিকর হলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনী ‘নেভার গিভ অ্যান ইঞ্চি–ফাইটিং ফর দ্য আমেরিকা আই লাভ’-এ চিনা প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে পম্পিওর শ্লেষাত্মক মন্তব্য, ‘‘ওঁর মধ্যে আমরা এক জন অসাধারণ কমিউনিস্টকে পেয়েছি। গুরুতর বিষয়ে আলোচনার সময়ও উনি বেশ হালকা মেজাজে থাকেন।’’ তবে সেই সঙ্গেই পম্পিও জানিয়েছে, একদলীয় চিনের শাসক দলের সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে ‘কমিউনিস্ট সুলভ বিষাদ এবং উত্তেজনা’ও দেখেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার বিদেশ সচিব পদে থাকাকালীন ‘চিন বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন পম্পিও। ডোকলাম এবং গালওয়ান-কাণ্ডের পরে কংগ্রেসে বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভুটানের ভূখণ্ড নিজেদের বলে দাবি করে, ভারতের জমি দখল করে চিন আসলে গোটা বিশ্বের পরীক্ষা নিচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, সদ্যপ্রকাশিত ওই বইয়ে পম্পিও লিখেছেন ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানার পরে পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকার সময়োচিত হস্তক্ষেপে সেই সঙ্কট কাটনো সম্ভব হয়।