চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। —ফাইল চিত্র।
যৌন হেনস্থার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একই সঙ্গে ৫০ লক্ষ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪১ কোটি ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আমেরিকার এক পত্রিকার লেখক ই.জিন ক্যারোল ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাঁর দাবি, ১৯৯৬ সালে ম্যানহ্যাটানের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ডোনাল্ড তাঁকে ধর্ষণ করেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতেও যৌন হেনস্থার মামলা শুরু হয়।
কিন্তু একাধিক বার ক্যারোলের এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ট্রাম্প। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার জন আদালতের জুরির ন’জন সদস্য এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। ডোনাল্ডকে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত করেন। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগে নয়, ক্যারলের মানহানির অভিযোগে ডোনাল্ডকে জরিমানাও করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ হিসাবে ক্যারলকে ৫০ লক্ষ ডলার দেবেন ট্রাম্প।
আদালতের তরফে জানানো হয়, ফৌজদারি আদালতের পরিবর্তে জন আদালতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করা হয়েছে বলে ক্যারোলের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়।স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প দাবি করেন, ক্যারোলকে তিনি চেনেন না। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগও মিথ্যা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাঁর নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি ট্রাম্পের।
শুধুমাত্র ক্যারোল একাই নন, পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের নামও জড়িয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্নতারকা স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ট্রাম্প। আপাতত পুলিশ এবং জেল হেফাজত এড়িয়েছেন। কিন্তু আমেরিকার আইন বলছে, শেষ পর্যন্ত সব ক’টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৩৬ বছর জেলের সাজা হতে পারে ট্রাম্পের।
স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে তিনি এবং ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর পর ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছিলেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যদিও ট্রাম্প এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। কোহেন ইতিমধ্যেই ভোটপ্রচারের সময় নীতি লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে রয়েছেন।