ঋষি সুনক (বাঁ দিকে) এবং ডেভিড ক্যামেরন। — ফাইল চিত্র।
সাত বছর পরে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের মন্ত্রিসভার সোমবারের রদবদলে বিদেশ এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসাবে যোগ দিচ্ছেন তিনি। ক্যামেরন নিজেই এক্স হ্যান্ডলে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় তাঁর প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক আমাকে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি সানন্দে তা গ্রহণ করেছি।’’ ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়েই ক্যামেরন সোমবার প্রথম বৈঠকটি করেন লন্ডন সফররত ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে।
ব্রিটেনের শাসকদল কনজ়ারভেটিভ পার্টির প্রথম সারির নেতা জেমস ক্লেভারলিকে সরিয়ে ক্যামেরনকে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিচ্ছেন সুনক। গাজ়া ভূখণ্ড-সহ পশ্চিম এশিয়ায় সাম্প্রতিক যুদ্ধের আবহে ক্যামেরনের মতো পরিচিত রাষ্ট্রনেতাকে ব্রিটেনের প্রয়োজন ছিল বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। প্রসঙ্গত, সোমবারই ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘বিতর্কিত’ নেত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সরিয়ে ক্লেভারলিকে নিয়োগ করেছেন সুনক।
২০১০ সালের মে মাসে কনজ়ারভেটিভ পার্টি (রক্ষণশীল দল) পার্লামেন্ট নির্বাচনে জেতার পরে প্রধানন্ত্রী হয়েছিলেন ক্যামেরন। ২০১৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ছিলেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে। সে বছর জুন মাসে ব্রেক্সিট গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ক্যামেরন। তার কয়েক মাস পরে উইটনি কেন্দ্রের এমপি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে জানিয়েছিলেন, পিছনের সারিতে বসে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।