নয়া রূপ কি আরও উদ্বেগের? প্রতীকি ছবি।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপের চেয়ে অনেক বেশি মিউটেশন ঘটেছে নয়া রূপ ওমিক্রন-এ। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান মেলা এই রূপের প্রথম ছবি প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছে রোমের ব্যামবিনো গেসু হাসপাতাল।
রবিবার অনেকটা মানচিত্রের মতো দেখতে একটি ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রকাশিত হয়েছে। রোমান হাসপাতালের গবেষকরা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘ডেল্টার চেয়ে অনেক বেশি মিউটেশন ঘটেছে নয়া ওমিক্রন রূপে, তা স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। ডেল্টা-এর তুলনায় স্পাইক প্রোটিন (এর মাধ্যমে ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে)-এ এই নতুন রূপের সমাহার অনেক বেশি। তবে গবেষকরা এ-ও জানিয়েছেন, ‘এর অর্থ এই নয়, যে এই রূপ বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। বরং আপাতত এটাই মনে করা উচিত, মানব দেহে সংক্রমণ ঘটানোর জন্য ভাইরাস আরও একটি রূপ নিয়েছে মাত্র।’ এই রূপের মারণ ক্ষমতা কম না বেশি, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ভবিষ্যতের গবেষণার দিকে নজর রাখতে হবে।
রোমের ব্যামবিনো গেসু হাসপাতালের প্রকাশ করা ছবি। ছবি— এএফপি
মিলান স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক তথা ব্যামবিনো গেসুর অন্যতম গবেষক ক্লদিয়া আলটেরি বলছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল মিউটেশনের পরিমাণ নির্ধারণ করা। তা সফল ভাবে করতে পেরেছি। তার পরই স্পাইক প্রোটিনের ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। যাতে নয়া রূপের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো যায়।’’
ক্লদিয়া আরও বলেছেন, ‘‘এই রূপ আরও বেশি ভয়ঙ্কর কি না, তা জানার জন্য গবেষণা আমরা করিনি। শুধুমাত্র স্পাইক প্রোটিনে এই রূপের অস্তিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডেল্টা রূপের তুলনায় নয়া রূপ (এ ক্ষেত্রে ওমিক্রন) কত বেশি বা কম মিউটেশন ঘটিয়েছে, তা দেখতে চেয়েছিলাম। আমরা আমাদের কাজে সফল। এই রূপের ভয়াবহতা নির্ণয়ের ভার আগামীর হাতে।’’