মমতা ও সনিয়া দু’জনকেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ। ফাইল ছবি।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার বিরোধী দলগুলো নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। ওই বৈঠকে যোগ দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। এই বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে কারও নাম না করে কথার লড়াই দেখা গিয়েছে। এ বার বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নেতা হতে চাইছেন। সনিয়ার দিন শেষ।’’
বস্তুত, রবিবারই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূলের নাম না করে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘কোনও কোনও বিরোধী দল এমনও আছে, প্রকাশ্যে হয়তো তারা বিরোধী, কিন্তু আসলে তারা সরকারপক্ষের সঙ্গেই রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হলে তারা সরে দাঁড়ায়। কিন্তু কংগ্রেস এমন করে না।’’ এর পরই নাম না করে অধীর তথা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটে লেখেন, ‘সংসদে বিরোধী ঐক্য থাকবে। সাধারণ বিষয়গুলো বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করবে।’ তবে অন্য বিরোধীদের সঙ্গে তৃণমূলের যে পার্থক্য রয়েছে, তা-ও বুঝিয়ে দেন তিনি।
বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে সোমবার সকালেই কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, ‘‘ওরা ঠিক করুক, কে কার সঙ্গে থাকবে না থাকবে। বিরোধীদের বৈঠক নাটক। বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিজেপি-র কোনও মাথা ব্যথা নেই।’’ সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘কে বৈঠক ডাকবে, কংগ্রেস না তৃণমূল, কোনটা মূল কোনটা নয়, ওরাই ঠিক করুক। এ সব করতে করতেই এই মরশুম শেষ হয়ে যাবে।’’
স্বভাবতই দিলীপের এমন মন্তব্যে বিতর্ক। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের একটা বৈঠক আছে। যেখানে আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। তা ছাড়া দিলীপ কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। বাংলায় ভোটে হারার পর ওরা নিজেদের দলের ব্যর্থতা নিয়ে বরং ভাবুক।’’
কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি সংসদের ইতিহাসটাই জানেন না। বিজেপি যখন বিরোধী আসনে ছিল, তখন তারাও বৈঠক ডাকত। এখন কংগ্রেস ডেকেছে। এটাই সংসদীয় রাজনীতির রীতি। উনি সেই রীতিটাকেই অস্বীকার করতে চাইছেন।’’