এই ছবিগুলোই ভাইরাল হয়েছে।
কী ছড়িয়েছে?
একটি ভিডিয়ো যেখানে দেখা যাচ্ছে বিশাল এক হল ঘরে সার দিয়ে রাখা মৃতদেহ। একটি ট্রাক থেকে গণকবরে ডাঁই করে ফেলা হচ্ছে প্যাকেটে মোড়া দেহ। গোটা ঘটনার কথা ক্যামেরার সামনে জানাচ্ছেন এক সাংবাদিক। ভিডিয়ো শেয়ার করে পোস্টে দাবি করা হয়েছে মৃতদেহগুলি ইটালির করোনা আক্রান্তদের।
কোথায় ছড়িয়েছে?
ফেসবুক, টুইটার ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে ২৩ সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো। ভিডিয়োটি শেয়ার করে এক ফেসবুক ইউজার লিখেছেন—
‘ইটালির করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ!
ঈশ্বর আমাদের উপর দয়া করুন... হে ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা আমাদের ক্ষমা করে দিন।’
এই তথ্য কি সঠিক?
না, ভিডিয়োটি ভুল। এটা ইটালির ভিডিয়ো নয়।
আনন্দবাজার কী ভাবে যাচাই করল?
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটির ২১ সেকেন্ডে ওই সাংবাদিককে বলতে শোনা যায়, রিপটাইড ভাইরাসের কথা। আমরা riptide virus লিখে গুগ্ল করে দেখি ‘উইকিপিডিয়া’ এবং ‘আইএমডিবি’-র দু’টি লিঙ্কে এই ভাইরাসটির উল্লেখ আছে। ২০০৭ সালের মার্কিন মিনিসিরিজ ‘প্যান্ডেমিক’-এর গল্প এই রিপটাইড ভাইরাস সংক্রমণ নিয়েই।
গুগল সার্চে যা উঠে এসেছে।
কী ভাবে ছড়িয়ে পড়ল এই ভিডিয়ো?
আমরা এই সিরিজটির নাম লিখে ইউটিউবে সার্চ করি। দেখা যায় ‘করোনাভাইরাস মুভি | পার্ট টু’ লিখে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মুভিজ সেন্ট্রালের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়ো।
ইউটিউব সার্চে যা পাওয়া গিয়েছে।
সেই ভিডিয়োটির ১ ঘণ্টা ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ড থেকে ১ ঘণ্টা ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ক্লিপটাই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রিপটাইড নামক সেই কাল্পনিক ভাইরাসটির উৎস বার্ড ফ্লু, যা ছড়িয়ে পড়ে লস অ্যাঞ্জেলসে। ভাইরাসটির সংক্রমণের উপসর্গ জ্বর আর খিঁচুনি। ভাইরাসের সংক্রমণে হাজার হাজার মানুষ মারা যেতে থাকে। কী ভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো হয়, সেটা নিয়েই গল্প।
এই সিরিজের ভিডিয়োই কি না বেমালুম ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণে ইটালির ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবি বলে।
(হোয়াটস্অ্যাপ,ফেসবুক, টুইটারে যা-ই দেখবেন, তা-ই বিশ্বাস করবেন না। শেয়ারও করে দেবেন না। বিশেষত এই আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় তো তো নয়ই। এ ভাবেই ছড়িয়ে পড়ে ভুয়ো খবর। যাচাই করুন। কোনও খবর, তথ্য, ছবি বা ভিডিয়ো নিয়ে মনে সংশয় দেখা দিলে আমাদের জানান এই ঠিকানায় feedback@abpdigital.in)