এফআইআর দায়েরের পরই আদালতের দ্বারস্থ হন ইমরান। ফাইল চিত্র।
কিছুটা স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী ২৫ অগস্ট পর্যন্ত ইমরানকে গ্রেফতার করা যাবে না। ‘রক্ষাকবচ’ দিয়ে সোমবার এমনই নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এফআইআর দায়ের করার পরই গ্রেফতারি এড়াতে আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান ইমরান। সেই মামলায় ইমরানকে ২৫ অগস্টের মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী আদালতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
ইমরানের হয়ে আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানায় তাঁর দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)। আবেদনপত্রে ইমরান জানান যে, যখনই তলব করা হবে, তিনি আদালতে হাজিরা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। অতীতে ইমরানের কোনও অপরাধের খতিয়ান নেই এবং তিনি কখনও দোষী সাব্যস্তও হননি, এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।
শনিবার ইসলামাবাদে এক সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিক ও এক মহিলা বিচারককে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে ইমরানের বিরুদ্ধে। ইসলামাবাদের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের উদ্দেশে ইমরানকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তোমাদের ছেড়ে দেব না!’’ এর পরেই রবিবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জানান, পুলিশ এবং বিচারককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার কথা ভাবছে পাক সরকার। তার পরেই ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
এর জেরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইমরানের গ্রেফতারির সম্ভাবনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সমর্থকদের রাস্তায় নামতে নির্দেশ দিয়েছে পিটিআই। ইসলামাবাদে ইমরানের বাড়ি ‘বনি গালা’র সামনে সমর্থকদের ভিড় দেখা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় রাওয়ালপিন্ডির সভায় তাঁর বক্তৃতার সময় ইউটিউব সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে পাক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ইমরান। তাঁর বক্তব্য যাতে দেশবাসী শুনতে না পান, সে কারণেই ইউটিউব সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয় বলে সুর চড়িয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘ঘৃণাভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগে ইমরানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচারের উপর শনিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল পাকিস্তানের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। টিভি চ্যানেলগুলি যাতে ইমরানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার না করে, সে ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল যে, ইমরানের ভাষণে দেশে শান্তি ও সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।