পরিকাঠামোগত খরচ কমাতেই গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবেন মাস্ক। —ফাইল ছবি
টুইটার অধিগ্রহণ করার পরেই সিইও পরাগ আগরওয়াল-সহ সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের ছাঁটাই করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কর্মী ছাঁটাইয়ের তোড়জোড়ও তিনি শুরু করেছেন বলে খবর। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে, তাঁদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের আগেই খবর রটেছিল, তাঁর মালিকানায় টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত পরিকাঠামোগত খরচ কমাতেই গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবেন বিশ্বের অন্যতম ধনী মাস্ক, তেমনটাই দাবি করেছিল বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। তার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাস্ক বিবৃতি দিয়ে জানান যে, তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করছেন। 'মানবতার স্বার্থেই' তাঁর এই পদক্ষেপ বলে বার্তা দেন টেসলা কর্ণধার।
মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ও সংস্থার ‘চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার’ নেড সেগালকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বাকি কর্মীদের ছাঁটাই প্রক্রিয়াও ১ নভেম্বরের মধ্যেই কার্যকর করা হতে পারে।
বস্তুত, ১ নভেম্বর টুইটার কর্মীদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ পাওয়ার কথা রয়েছে। ওই তারিখের মধ্যে ছাঁটাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে কর্মীরা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। ফলে আশঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে কর্মীদের মধ্যে।
৪,৪০০ কোটি ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করে টুইটার কিনেছেন মাস্ক। টুইটার অধিগ্রহণের পর তাঁর বার্তা ছিল, ‘‘কেন আমি টুইটার অধিগ্রহণ করলাম, সে ব্যাপারে সকলকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত, যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে।’’ পাশাপাশি মাস্ক এ-ও বলেছেন, ‘‘বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সমাজমাধ্যম কট্টর দক্ষিণপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। যা সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।’’
পাশাপাশি, টুইটারের বিজ্ঞাপন নীতি কী হওয়া উচিত, সে নিয়েও বার্তা দিয়েছেন মাস্ক। তাঁর কথায়, বিজ্ঞাপন সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হলে, তা মানুষকে অনেক তথ্য পেতে সাহায্য করবে। অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন ‘স্প্যাম’ বলে বর্ণনা করেছেন ধনকুবের।