ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল। ছবি: রয়টার্স।
রবিবার ভোরে মস্কোর নুকোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পর পর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দু’টি বহুতল অফিস। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদপত্র তাস।
এই ঘটনার পরই নিরাপত্তার স্বার্থে তড়িঘড়ি বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। বেশ কিছু বিমানকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয় বলে মস্কো শহরের মেয়র জানিয়েছেন। তাস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলার জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করেছে মস্কো। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর। ড্রোন হামলার কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
মস্কো শহরের মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন টেলিগ্রামে বলেন, “বিমানবন্দরের খুব কাছে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দু’টি বহুতলের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।” এটিকে জঙ্গি হামলা বলে উল্লেখ করে রাশিয়ার দাবি, একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেন জঙ্গি হামলা চালানোর চেষ্টা করছে ড্রোন ব্যবহার করে। মস্কোতে হামলার চেষ্টা করেছিল ওরা। কিন্তু তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। একটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হলেও দ্বিতীয়টি বিমানবন্দরের কাছে বহুতলে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আরও দু’টি ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেগুলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে।
তাস জানিয়েছে, পর পর ড্রোন হামলায় বিপদের আঁচ পেয়ে নুকোভো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। এ মাসের গোড়াতেও মস্কোর দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে ড্রোন হামলা হয়েছিল। তখনও ইউক্রেনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিল রাশিয়া।
মস্কোর দাবি, শুক্রবার ইউক্রেনের সীমান্তলাগোয়া রাশিয়ার দক্ষিণ প্রান্ত রোস্তভ লক্ষ্য করে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইউক্রেন। সেই ক্ষেপণাস্ত্র টাগানরোগ শহরে গিয়ে পড়ে। তাতে ১৬ জন আহত হন।