চলতি বছরের মে মাসে বিশ্ব জুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। প্রতীকী ছবি।
চিনের মূল ভুখণ্ডে মাঙ্কিপক্সের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়তেই ‘বিতর্কিত’ সতর্কবার্তা জারি করল সে দেশের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধক সংস্থা। চিনা নাগরিকদের প্রতি ওই সংস্থার পরামর্শ, মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিদেশিদের ছোঁবেন না। যা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, অতিমারির গোড়ায় বিদেশের মাটিতে চিন তথা এশীয় নাগরিকদের কোভিড ছড়ানোর অভিযোগে যে রকম সন্দেহের চোখে দেখা হত, এ ক্ষেত্রেই সেই আচরণ করার কথা বলা হচ্ছে।
শনিবার চিনের একটি মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটে ওই ‘বিতর্কিত’ পরামর্শ দিয়েছেন চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ য়ু জুনইউ। আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচতে নাগরিকদের প্রতি পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন য়ু। তার মধ্যে অন্যতম হল, ‘বিদেশিদের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে যাবেন না। অর্থাৎ বিদেশিদের ছোঁবেন না।’ মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ রুখতে নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলেছেন য়ু। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের সংস্পর্শে চিনে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। যদিও ওই ব্লগ সাইটে এক জনের মন্তব্য, ‘অতিমারির গোড়ার দিকে কোভিডের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় বিদেশের মাটিতে চিনা নাগরিকদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়েছিল, এই পরামর্শ তা-ই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে।’
চিনের মূল ভূখণ্ডে চোংকিং শহরে প্রথম বার মাঙ্কিপক্সের রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই রোগীর বিদেশ থেকে চিনে এসেছিলেন। যদিও তিনি চিনের নাগরিক না বিদেশি, তা প্রকাশ করেনি চিনা প্রশাসন। স্থানীয় পুরসভার স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, চোংকিং শহরে পা রাখামাত্রই সংক্রমিত ব্যক্তিকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর সংস্পর্শে আসা সকলকেও নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকেই পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাস থেকে বিশ্ব জুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ৯০টি দেশে ৬০ হাজারেও বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।