প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিততে পারেন ট্রাম্প, দাবি মাস্কের ফাইল চিত্র।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরাগী বা সমর্থক হিসাবে তাঁর খ্যাতি নেই। তবে ম্যানহাটন আদালতের রায়ে আমেরিকার প্রাক্তন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট দোষী সাব্যস্ত হলে দ্বিতীয় বারের জন্য তাঁর হোয়াইট হাউসে ঢোকা কেউ আটকাতে পারবে না বলে মনে করছেন টুইটার-কর্তা ইলন মাস্ক। পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যে কোনও দিন ট্রাম্প গ্রেফতার হতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে যখন জল্পনাকল্পনা চলছে, তখন মাস্ক মনে করছেন, এ সবে আদতে লাভবান হবেন ট্রাম্পই। মাস্ক টুইটারে লেখেন, গ্রেফতার হলেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যাবেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের জন্য বিপুল ভোটে জিতবেন তিনি।
এক পর্নতারকাকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তদন্ত করছে ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্টর্মি ড্যানিয়েল নামে ওই পর্নতারকা যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ না খোলেন, তার জন্য আইনজীবী মারফত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার পাঠানো হয়েছিল। ট্রাম্পই ওই টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ট্রাম্প অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ম্যানহাটন আদালতকেই কড়া কথা শুনিয়েছেন। ম্যানহাটন আদালতের প্রধান কৌঁসুলির সচিবালয়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এই সচিবালয় আমাকে আটকাতে চাইছে, যাতে আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারি।” ২০২০ সালের নির্বাচনে জিততে ট্রাম্প স্লোগান তুলেছিলেন, “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন।” এ বার তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া চক্রান্তের বিরুদ্ধে সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে ট্রাম্প দেশের গৌরব ফেরানোর ডাক দিয়েছেন। দাবি করেছেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হিসাবে তিনিই জিতবেন। মঙ্গলবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগাম জানিয়েও দেন তিনি।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলকে এই ঘুষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, ড্যানিয়েলের সঙ্গে আগে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন ড্যানিয়েল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নামার আগে নিজের ভাবমূর্তিতে যাতে ধাক্কা না লাগে, তার জন্যই ট্রাম্প এই পদক্ষেপ করেছিলেন বলে দাবি করেন কেউ কেউ। তবে আমেরিকার অনেকেই মনে করছেন, এ বার হোয়াইট হাউসে ঢোকা ট্রাম্পের জন্য ততটা সহজ না-ও হতে পারে। কারণ রিপাবলিকান শিবিরেই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে একাধিক পদপ্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন।