বিশ্বকাপে সোনার গ্লাভস জিতেছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেস (বাঁ দিকে)। আইএসএলের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন বিশাল কাইথ। —ফাইল চিত্র
ঠিক যেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। কাতার বিশ্বকাপে যে ভাবে আর্জেন্টিনার ট্রফি জয়ের নেপথ্যে বড় হাত ছিল দলের গোলরক্ষকের, ঠিক সে ভাবেই আইএসএলে মোহনবাগানের জয়ের অন্যতম কারিগর বিশাল কাইথ। বিশ্বকাপ ফাইনালে মার্তিনেসের মতোই সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক আইএসএল ফাইনালে টাইব্রেকারে পেনাল্টি বাঁচিয়েছেন। ঠিক যে ভাবে মার্তিনেসের হাতে আটকে গিয়েছিল ফ্রান্স, একই ভাবে বিশালের হাতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুর। মার্তিনেসের মতোই প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষক হিসাবে সোনার গ্লাভস জিতেছেন বিশাল। আবার প্রতিযোগিতা জিতে ঠিক মার্তিনেসের মতোই ‘অশ্লীল’ ভঙ্গিতে উল্লাস করে বিতর্কে বাগান গোলরক্ষক।
সমাজমাধ্যমে বিশালের একটি ছবি ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাজঘরে উল্লাস করছেন তিনি। সোনার গ্লাভস জিতে মার্তিনেস যে ভঙ্গি দেখিয়েছিলেন, সাজঘরে ঠিক একই ভঙ্গিতে দেখা গিয়েছে বিশালকে। ছবির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ছবিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তাঁরও জার্সির সংখ্যা বিশালের মতোই ‘১’। পাশে বাগানের আরও এক ফুটবলারকে দেখা গিয়েছে।
বিশালের এই ছবিই সমাজমাধ্য়মে ছড়িয়েছে। ছবি: ফেসবুক
বিশ্বকাপ জিতে মার্তিনেসের সেই উল্লাসে চরম বিতর্ক হয়েছিল। ফ্রান্স ফিফায় অভিযোগও করে। মার্তিনেসকে সতর্ক করেছিল ফিফা। তাঁর আচরণ নিয়ে তদন্তও হয়েছে। যদিও শাস্তি পাননি লিয়োনেল মেসিদের দলের গোলরক্ষক। বিতর্কের মাঝে মেসি জানিয়েছিলেন, তাঁরা অনেক বার নিষেধ করার পরেও ও ভাবে উল্লাস করেছিলেন মার্তিনেস। তাঁর এই ভঙ্গি পছন্দ হয়নি দলেরও। পরে মার্তিনেস জানিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তে উত্তেজিত হয়ে ও ভাবে উল্লাস করেছিলেন তিনি। কাউকে আঘাত দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর ছিল না। যদিও তার পরেও সেই বিতর্ক থামেনি।
এ বারের আইএসএলে বাগান তেকাঠির নীচে ভাল দেখিয়েছে বিশালকে। প্রতিযোগিতার ২৪টি ম্যাচের মধ্যে ১২টি ম্যাচে গোল খাননি তিনি। ফাইনালেও বেশ কয়েকটি ভাল সেভ করেছেন বাগান গোলরক্ষক। তার জেরেই আইএসএলের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন বিশাল। কিন্তু তার পরেই উল্লাস করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তিনি।