Donald Trump Assassination Attempt

‘একটু এ দিক ও দিক হলেই অন্য কিছু হতে পারত!’, মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের গলায় আতঙ্ক

ট্রাম্পের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারের আয়োজন হয়েছে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে এক্সে সরাসরি সম্প্রচার করা বয় এই সাক্ষাৎকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৬
Share:

(বাঁ দিকে) ইলন মাস্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

প্রকাশ্য জনসভায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনা এক মাস অতিক্রান্ত। তার মধ্যে আমেরিকার রাজনীতিতে পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছুই। ডেমোক্র্যাট শিবির তাদের প্রার্থী বেছে নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। হামলার আতঙ্ক কাটিয়ে কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত হচ্ছেন ট্রাম্প। তবে এক মাস পর হামলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এখনও ট্রাম্পের গলা কেঁপে উঠছে। ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘‘সে দিন একটু এ দিক ও দিক হলেই অন্য কিছু হতে পারত!’’ অর্থাৎ গুলির আঘাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

ট্রাম্পের একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারের আয়োজন হয়েছে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে এক্সে সরাসরি সম্প্রচার করা বয় এই সাক্ষাৎকার। আর ট্রাম্পকে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এক্সের মালিক মাস্ক। সেই সাক্ষাৎকার শুরুই হয়েছে ট্রাম্পের উপর হামলার প্রসঙ্গ দিয়ে। মাস্কের প্রশ্নের উত্তরে ১৩ জুলাইয়ের বিভীষিকা বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের কথায়, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, বুলেট আমার দিকে ছুটে এসে কান স্পর্শ করে বেরিয়ে গিয়েছে। তার পর মাথা নিচু করে বসে পড়ার পর অনুভব করি, মাথার উপর দিয়েও বেরিয়ে গিয়েছে একটা বুলেট। কোনও কারণে একটু এ দিক, ও দিক হলেই অন্য কিছু হতে পারত।’’ পাশাপাশি, সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপারেরও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে দু’ টি গুলি পর পর ছুটে আসার পরই তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের এক স্নাইপারের ছোড়া গুলিতে নিহত হন হামলাকারী।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই বেথেল পার্কের ফেয়ার গ্রাউন্ডের সভায় ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়। অভিযুক্ত টমাস ক্রুকের ছোড়া গুলি কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। সেই ঘটনার পর থেকেই ট্রাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সব রাজনীতিকদের নিরাপত্তা দেয় সিক্রেট সার্ভিস নামে ওই সংস্থা। সে দিনের সভায় ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বেও ছিল তারা। তাই গুলিকাণ্ডের পর সিক্রেট সার্ভিসের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement