বর্গাকৃতি ঢেউ।
দিঘা বা পুরীর সমুদ্রে কখনও ছোট ঢেউ, কখনও বিশালাকৃতির ঢেউ লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের ঢেউ দেখতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু ঢেউয়ের প্রকারভেদ আছে। যা ঘাতক। না, ছোট বা বড় ঢেউ নয়, এই ঢেউ বর্গাকৃতির। বিষয়টি শুনে হয়তো অবাক লাগতে পারে। কেননা এই ধরনের ঢেউ সচরাচর এবং সর্বত্র দেখা যায় না।তবে বর্গাকৃতির এই ঢেউ যে প্রাণঘাতী, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। দূর থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে এই ঢেউ। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের আড়ালে যে ভয়ানক রূপ লুকিয়ে আছে তা বোঝা দায়। খোলা সমুদ্রেই মূলত এই ঢেউয়ের দেখা মেলে। তবে অনেক সময় উপকূলের কাছাকাছিও এই ধরনের ঢেউ দেখা যায়।
কী ভাবে তৈরি হয় এই ঢেউ? সাধারণত দু’টি পরস্পর বিপরীতমুখী ঢেউয়ের জেরে এই বর্গাকৃতি ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া, একই জায়গায় আবহওয়ার দুই চরিত্রের কারণে এই ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। অনেকটা দাবার বোর্ডের বর্গাকৃতি ঘরের মতো ছবি তৈরি হয় সমুদ্রে। উপর থেকে দেখলে মনে হবে কৃত্রিম ভাবে ওই চৌকো ঘর তৈরি করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র দাবি, এই ধরনের ঢেউয়ের মুখে পড়ে বেশ কয়েকটি জাহাজডুবির ঘটনাও ঘটেছে। ফ্রান্সের আইল ডে রে-তে এই ধরনের ঢেউ দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে, উষ্ণায়ণের কারণে ঢেউয়ের চরিত্র বদলাচ্ছে। আরও ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে সমুদ্রের ঢেউ। যার জেরে উপকূলীয় এলাকা ধ্বংসের মুখে পড়ছে।