Toronto

Digital Concert in Toronto: কোভিড বিধি মেনেই টরন্টোতে ডিজিটাল অনুষ্ঠানের আয়োজন ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’-র

আগামী রবিবার, ১৭ অক্টোবর, টরন্টোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বাংলা ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ গান পরিবেশন করবে সেই অনুষ্ঠানে।

Advertisement

টিনা চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ ঘোষ

টরন্টো শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২১ ২৩:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র।

সমস্ত রকম কোভিড বিধিনিষেধ মেনে এ বার কানাডার টরন্টোয় উদ্‌যাপিত হয়েছে দুর্গোৎসব। তাতে মজেছেন সেখানে থাকা বাঙালিরা। কিন্তু এখনও ভারত থেকে কানাডায় যাতায়াত সহজ না হয়ে ওঠায় কানাডা সরকারের তরফে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে শিল্পী নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই টরন্টোতে বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচারের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’ গত বছরের মতো এ বছরও আয়োজন করেছে এক ডিজিটাল অনুষ্ঠানের।

Advertisement

আগামী রবিবার, ১৭ অক্টোবর, টরন্টোর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় বাংলা ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ গান পরিবেশন করবে সেই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি দেখতে গেলে ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’-র ফেসবুক গ্রুপে যোগদান করতে হবে। তা হলেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।

Advertisement

‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’-র এই উদ্যোগের পিছনে সবার মনোরঞ্জন করাই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়, গত বছরের মতো এ বছরও এটি একটি ‘ফান্ড রেইজিং কনসার্ট’ হিসেবেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। গত বছর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা তুলে করোনাকালে রোজগার হারানো শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’। এ বার সেই টাকা ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হবে। যে হেতু অক্টোবর মাস ‘ডাউন সিনড্রোম অ্যাওয়ারনেস’ মাস হিসেবে পরিচিত তাই অনুষ্ঠান থেকে অর্জিত টাকা ‘ক্যানাডিয়ান ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি’ ও কলকাতার ‘সোলফুল স্টেপস’ নামের দু’টি সংস্থাকে দেওয়া হবে।

যাঁদের হাত ধরে এই অনুষ্ঠানটি হতে চলেছে, ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’-র দুই প্রধান সদস্য টিনা চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, তাঁদের এই উদ্যোগ আজ শুধু টরন্টোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ‘প্রবাসে বাঙালি আড্ডা’-র বহু অনুগামী কানাডার অন্যান্য শহরে এবং কানাডার বাইরে আমেরিকা, ইউরোপেও সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আর্থিক সাহায্য করেছেন। সারা বিশ্বের প্রবাসী বাঙালিরা যদি এ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তা হলে সেটি ভবিষ্যতের জন্য নিঃসন্দেহে এক আশার আলো দেখাবে বলেই মনে করেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement