বাংলাদেশের রাস্তায় বিজিবি-র টহল। —ফাইল চিত্র।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে গত কয়েক দিনে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। হিংসা ঠেকাতে সেনা নেমেছে ঢাকার রাস্তায়। নামানো হয়েছে ট্যাঙ্ক। জারি হয়েছে কার্ফু। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বিগত কয়েক দিনে শুধু ঢাকা শহর থেকেই গ্রেফতার ৫০০ জনেরও বেশি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন এএফপিকে জানিয়েছেন, “অন্তত ৫৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তালিকায় কয়েক জন বিএনপি নেতাও রয়েছেন।” কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর।
সংবাদ মাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’ সূত্রে খবর, আন্দোলনের অন্যতম এক সমন্বায়ককে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির সন্দেহ, তিনি যাতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে না পারেন, সে জন্যই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিবিসি বাংলা সূত্রে খবর, ওই সমন্বায়ক জানিয়েছেন, তাঁর মুখে চার স্তরের কাপড় জড়িয়ে চোখ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এর পর হাতকড়া পরিয়ে একটি চার চাকার গাড়িতে তুলে নিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছিল। এর পর একসময় ওই সমন্বায়ক জ্ঞান হারিয়েছিলেন বলে দাবি।
উল্লেখ্য, রবিবারই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোটার ক্ষেত্রে হাই কোর্টের রায়কে খারিজ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কোটা ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হবে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মোট কোটা থাকবে সাত শতাংশ। যার মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। এক শতাংশ অন্য অনগ্রসর শ্রেণি ও এক শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে মেধার ভিত্তিতে। ‘বিবিসি বাংলা’ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিলেই কোটা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তিনি বলেছেন, “মঙ্গলবার সকালেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে তার আগে যদি প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়ে দেন, তাহলে আগেই দিয়ে দেওয়া হবে।”