ছবি: রয়টার্স
ফের বিপদের মুখে চিন। এ বার করোনা রূপ পাল্টে ‘ডেল্টা’ হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চিনে। উত্তর চিনের নানজিং প্রদেশে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার এই রূপ। বিপুল সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা, নানা স্থানে কোভিড রুখতে কড়া বিধিনিষেধের পরেও নানজিংয়ের বিমানবন্দর থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।
গত শীতে শেষ বার করোনার এই বিপুল সংক্রমণ দেখেছিল চিন। ফের তা দেখা দিল এই জুলাইয়ে এসে। নানজিং প্রদেশে এক দিনে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ২০০ জন করোনা আক্রান্তের। সংক্রমণের হাত থেকে ছাড় পায়নি বেজিংও। সেখানে ডেল্টা রূপে আক্রান্ত এক জনের সন্ধান মিলেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নানজিং গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই সংক্রমণ নিয়ে তিনি বেজিংয়ে এসেছেন। বেজিংয়ে ছ’মাস পর স্থানীয় ভাবে সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
চিনের প্রশাসন জানিয়েছে, ডেল্টা রূপে প্রথম আক্রান্ত হন নানজিং প্রদেশের বিমানবন্দর-কর্মীরা। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। বাড়তে বাড়তে সেই সংক্রমণ বৃহস্পতিবার পৌঁছে গিয়েছে ২০০-এ। গত শীতের পর এক ধাক্কায় এত জন করোনা আক্রান্ত হননি উত্তর-পূর্ব চিনে। গত শীতে এই অংশেই ২ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ বারের সংক্রমণ সেই আতঙ্ক ফিরিয়ে আনছে।
আতঙ্কের এখানে শেষ নয়। প্রশাসন জানিয়েছে, নানজিংয়ের যে বিমানবন্দর-কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সকলেই দু’টি করে করোনা-টিকা পেয়েছেন। তবে একটা বাঁচোয়া, করোনার নতুন রূপে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তাঁদের শারীরিক অবস্থার বেশি অবনতি হয়নি। সামান্য উপসর্গের ভিতরেই সীমাবব্ধ রয়েছে সংক্রমণ। এই সংক্রমণের পরেই সমস্ত নানজিংয়ের আবাসন এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন করে ৯০ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করতে শুরু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিমান পরিষেবাও। বেজিংয়ে এত সতর্কতা সত্ত্বেও সংক্রমণ ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই বছরে এর আগে পর্যন্ত সংক্রমণ-শূন্য ছিল বেজিং।