রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এখনও রয়েছে ১০০-এর উপরেই। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৭৬৬ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে ১০৬ জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই সময়ে রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এর মধ্যে চার জন করে মৃত্যুর খবর মিলেছে উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর থেকে।
বৃহস্পতিবারের পরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ২৬ ৫৩৯। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ১২৩-এ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সুস্থ হয়েছে ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ১১৬ জন। যে হারে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছিল, সেই হারও কিছুটা নেমে এসেছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭০ কমে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩০০-তে। তবে দৈনিক করোনা পরীক্ষার পরিমাণও সামান্য বেড়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিচারে আক্রান্তের সংখ্যা হিসাব করে দেখা গিয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ১.৭৭ শতাংশ।
সংক্রমণের নিরিখে জেলার তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তারপরেই রয়েছে দার্জিলিং ও কলকাতা। দার্জিলিঙে নতুন করে ৬৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কলকাতায় ৬৪ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে যথাক্রমে ১৪, ৩৮ এবং ৪০ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৫ ও ৪৮। সংক্রমণের বিচারে এখনও তালিকার শেষে দিকে রয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, মালদহ। এই জেলগুলিতে যথাক্রমে দুই, চার, চার, চার, এক জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে শেষ ২৪ ঘণ্টায়।
১৫ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে বৃহস্পতিবারই। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা যে প্রশাসনের কড়া নজরে থাকবে, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। কড়া বিধিনিষেধ প্রয়োগের পাশাপাশি চলবে টিকাকরণও। যেমন শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকা পেয়েছে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯০৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট টিকা পেয়েছে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫২৭ জন।