নিহতদের জুতো সংগ্রহ করছেন তদন্তকারী। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি কট্টরপন্থী ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সমাবেশে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪। শতাধিক জখম, ফলে মৃত্যু আরও বাড়তে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে তাদের সন্দেহ এই হামলার পিছনে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর যোগ রয়েছে। সন্ত্রাসে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী শহর খারে গত কাল রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল জামিয়াত উলেমা ইসলাম-ফজ়ল (জেইউআই-এফ)-এর জমায়েতে ৪০০-র বেশি সদস্য জড়ো হয়েছিলেন। ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ়’ (পিএমএল-এন)-এর নেতৃত্বধানী জোট সরকারের শরিক জেইউআই-এফ। সামনেই ভোট। তার আগে প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। গত কাল তেমনই একটি সভার আয়োজন হয়েছিল খারে। পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন। জখমদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেছেন। খাইবার পাখতুনখোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী আজ়ম খান পুলিশদের কাছে বিস্ফোরণের তদন্তের বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তিনি নিজে তদন্তের তদারকি করছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখের। নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকবার্তা জানিয়েছেন তিনিও।
২০২১ সালে অগস্টে আফগানিস্তানে তালিবানের প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই পাকিস্তানে সন্ত্রাস হামলার ঘটনা বেড়েছে। গত ৩০ জানয়ারি পেশোয়ারে তালিবানের সন্ত্রাস-হামলায় ১০১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০০-র বেশি মানুষ জখম হন। ফেব্রুয়ারি মাসে করাচিতে পুলিশ প্রধানের দফতরে জঙ্গি গোষ্ঠী ‘তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান’ হামলা চালায়। তিন জঙ্গির ছাড়া আরও ৪ জন নিহত হন। এর মধ্যে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল।