কোথা থেকে রোজ রোজ এই পুতুলগুলো আসছে, তা সত্যিই রহস্যজনক। ছবি: সংগৃহীত
কোনও পুতুলের মাথা ভাঙা, আবার কোনও পুতুলের পা নেই। কোনও পুতুলের মাথায় একটাও চুল অবশিষ্ট নেই, হাত-পা কোনও রকমে শরীরের বাকি অংশের সঙ্গে লেগে রয়েছে। এমন চেহারার পুতুল দেখা যায় হরর ছবিতে। কিন্তু বাস্তবে এমনই ভয়ঙ্কর চেহারার সব পুতুল একের পর এক এসে জমা হচ্ছে টেক্সাস-এর সমুদ্রের পাড়ে।
গবেষণার কাজ চালাতে গিয়ে প্রায় রোজই এই রকম পুতুল খুঁজে পাচ্ছেন টেক্সাস মেরিন সায়েন্স ইনস্টিউট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। বিপন্ন প্রজাতির পাখি, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী, কচ্ছপ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণার কাজে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন সমুদ্রের পাড়ে যেতে হয় তাঁদের।
টেক্সাস সমুদ্র সৈকতের ৪০ মাইল উপকূলরেখা বরাবর এই গবেষকরা ৩০-টিরও বেশি পুতুল পেয়েছেন। রোজই এমন পুতুল পাওয়ায় তাঁরা নেটমাধ্যমে সেগুলির ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন। গবেষক জেস টানেল জানিয়েছেন, কোথা থেকে রোজ রোজ এই পুতুলগুলো আসছে, তা সত্যিই রহস্যজনক। নেটমাধ্যমে জানানোর পর বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে এই খবর পৌঁছয়।
এমন কি এক জন ব্যক্তি ২৭ ইউরো দাম দিয়ে একটি পুতুল কিনেও ফেলেন।
গবেষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাকি পুতুলগুলি তাঁরা পুতুল সংগ্রহশালায় পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
তবে স্থানীয় লোকেরা বেশ ভয়ে ভয়েই রয়েছেন। টেক্সাস সমুদ্রতটে কি সত্যিই ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ড ঘটতে শুরু করল?