নীল প্যারিস। ফাইল চিত্র ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ব্রিটিশ আইনসভায় বসে পর্নোগ্রাফি দেখেছেন। তা-ও এক মহিলার পাশে বসে। এ বার নিজের সেই কাজের জন্য স্ত্রী-র কাছে ক্ষমা চাইলেন। তিনি ইংল্যান্ডের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মন্ত্রী নীল প্যারিস। শুক্রবার কান্নায় ভেঙেও পড়েন তিনি। স্ত্রীর উদ্দেশে নীল বলেন, ‘‘আমি দুঃখিত। তুমি এক মূর্খকে বিয়ে করেছ।’’ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীল এ-ও বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীকে এই পরিস্থিতির মধ্যে এনে ফেলার জন্য আমি তাঁর কাছেই সব থেকে বেশি ক্ষমাপ্রার্থী।’’ যদিও, নীলের স্ত্রী সু প্যারিস শুক্রবার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিনি এই লড়াইয়ে স্বামীর পাশেই আছেন।
তবে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কি না, সে বিষয়ে বিশদে জানাননি অভিযুক্ত মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের আইনসভার নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব কমন্স’-এ পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো দেখার অভিযোগ আনা হয় নীলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা সদস্যের পাশে বসে এই ভিডিয়ো দেখার অভিযোগও ওঠে।
আইনসভার স্বশাসিত শাখা নীলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। তদন্ত শেষ হলে তবেই আইনসভার চিফ হুইপ ক্রিস হিটন-হ্যারিস যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
ওয়েস্টমিনস্টারে যৌন হয়রানি এবং দুর্ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর একাধিক ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আইনসভার তিন সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে।
এই প্রসঙ্গে বরিস বলেছিলেন, ‘‘যৌন হয়রানি সহ্য করা হবে না এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বরখাস্তও করা হতে পারে।’’