সন্তানসম্ভবা ধনী দম্পতিরা টেলরের কাছে তাঁদের ভাবী সন্তানের নামকরণের উদ্দেশ্যে আসেন। প্রতীকী ছবি
নবজাতকের নামকরণ নিয়ে অনেকেই মুশকিলে পড়েন।জন্মের আগে থেকেই বাবা-মা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা নতুন অতিথির কী নাম রাখবেন তা নিয়ে প্রায়শই বিতর্কে অবতীর্ণ হন। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, আপনার বাচ্চার জন্য এমন একটি নাম কেউ বেছে দিলেন, যা আপনার পারিবারিক সংস্কৃতি ছাড়াও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে দেওয়া?
নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা টেলর এ হামফ্রে এই জীবিকাকেই তাঁর রোজগারের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সন্তানসম্ভবা ধনী দম্পতিরা টেলরের কাছে তাঁদের ভাবী সন্তানের নামকরণের উদ্দেশ্যে আসেন। টেলরের মতে, “নাম শুধুমাত্র আমাদের পরিচয় বহন করে না। নামের মাধ্যমেই ফুটে আসে নিজেদের ব্যক্তিত্ব, পরিবারের সংস্কৃতি ছাড়া আরও অনেক কিছু।”
৩৩ বছর বয়সি টেলর ২০১৫ সাল থেকে তাঁর এই ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে নেটমাধ্যমেই তিনি তাঁর পেশার কথা জানান। তিন বছর পর ২০১৮ সাল থেকেই টেলর তাঁর ব্যবসা বাড়াতে থাকেন।
টেলর নাম প্রতি কম পক্ষে দেড় হাজার আমেরিকান ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৭.৬ লাখ টাকা অবধি পারিশ্রমিক নেন। সর্বনিম্ন খরচে তিনি ওই দম্পতিকে ফোন করে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং সেই তথ্যের উপর নির্ভর করে তিনি নামকরণ করেন। এমন কি পারিবারিক ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করেও টেলর সেই নবজাতকের নামকরণ করেন।
টেলর জানিয়েছেন, এমন কখনও হয়নি যে, তাঁর ঠিক করে দেওয়া নাম কারও অপছন্দ হয়েছে। নামের প্রথম অংশ হিসেবে না হলেও মধ্যনাম (মিডল নেম) হিসেবে ব্যবহার করেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রনাথকে অনেকেই অনুরোধ করতেন তাঁর সন্তানের নামকরণের জন্য। কবি কখনও কারও অনুরোধ এড়িয়ে যেতেন না বলেই জানা যায়। রবীন্দ্রনাথের মতো অনেক খ্যাতজনকেই এমন অনুরোধের সামনে পড়তে হয়েছে। কিন্তু অনুরোধ এক জিনিস। আর তাকে 'ব্যবসা'-য় পরিণত করা আর এক কাণ্ড। টেলর সেই কাজটি করেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দুনিয়াকে।