কোভিডের নয়া বিএফ.৭ প্রতিরূপের দাপাদাপিতে বিপর্যস্ত চিন। ছবি: টুইটার
চিনে প্রতি দিন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ! সে দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসনের উপরমহল থেকেই এই ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। গত তিন বছরে সারা বিশ্ব যখন অতিমারির কবলে পড়েছিল, তখনও চিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষের কাছে পিঠে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এক দিনে কোভিড সংক্রমণের নিরিখে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিল চিন।
সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের খবর অনুয়ায়ী, ডিসেম্বর মাসের শুধু প্রথম কুড়ি দিনের পরিসংখ্যান থেকেই এই সংখ্যাটা পাওয়া গিয়েছে। তার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের জনগোষ্ঠীর আঠারো শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত।
সরকারি তরফে অবশ্য বলা হয়েছে দিনে ৩,০৪৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। বাস্তবে যে এর অনেক বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, কেউ অন্য দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার পর কোভিডে আক্রান্ত হলে, তাকে কোভিড পজিটিভ রোগী হিসেবে ধরা হবে না। চিন সরকার এ ভাবে কোভিড আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা চেপে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছ পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, কোভিড মোকাবিলায় কার্যত নাজেহাল অবস্থা বেজিং প্রশাসনের। মৃতদেহে উপচে পড়ছে মর্গ, জ্বরের ওষুধও অমিল সে দেশে।
প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে কিছু দিন আগেই কোভিড শূন্য নীতি থেকে সরে এসেছিল চিন। শিথিল হয়েছিল পুরনো কোভিডবিধি। তারপরই সে দেশের কোভিড সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়ায় এবং কোভিডের শক্তিশালী প্রতিষেধক ব্যবহার না করার জন্যই চিনকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।