প্রতিষেধকের ডোজ দেওয়া হচ্ছে স্যান্ড্রাকে। ছবি: রয়টার্স।
গণকবরে থরে থরে কফিন সাজানো দেখে চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সেই নিউ ইয়র্কের হাত ধরেই এ বার আমেরিকায় করোনার টিকাকরণ শুরু হল। সোমবার সকালে আমেরিকান সংস্থা ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর তৈরি টিকার প্রথম ডোজটি নেন সেখানকার এক নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেরে উদ্ভুত অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।
আমেরিকার মধ্যে নিউইয়র্কেই অতিমারির প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত সেখানে ৩৫ হাজার ৫৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এতদিন মূমূর্ষ রোগীদের সামলেছেন অ্যাফ্রো-আমেরিকান স্যান্ড্রা। নিজে থেকেই তিনি প্রতিষেধকের প্রথম ডোজটি নিতে এগিয়ে আসেন বলে জানা গিয়েছে।
কুইন্সের লং আইল্যান্ড জিউইশ মেডিক্যাল সেন্টারে কর্মরত স্যান্ড্রা। সোমবার সকালে নর্থওয়েল হেল্থ এমপ্লয়ি হেল্থ সার্ভিসেস-এর ডিরেক্টর মিশেল চেস্টারের তত্ত্বাবধানে সেখানেই তাঁর উপর প্রতিষেধকের প্রথম ডোজটি প্রয়োগ করা হয়। স্যান্ড্রার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সে দেশের মানুষ এবং সংবাদমাধ্যম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টিকাকরণ শুরু হওয়ায় আমেরিকাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
আরও পড়ুন: বিজেপি যখন অফিস ভাঙছিল, কোথায় ছিলেন ববি: জিতেন্দ্র
আরও পড়ুন: দক্ষিণ প্যাংগংয়ে চিনা সেনাকে বোকা বানায় পানাগড়ের ‘পাহাড়ি বাহিনী’
তবে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কৃতিত্ব নিতে নারাজ স্যান্ড্রা। অতীতে প্রতিষেধকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে। তাই কোভিডের টিকা নিয়েও খানিকটা সন্দেহের মেঘ জমেছিল তাঁদের মধ্যে। সেই ভয় কাটাতেই তিনি এগিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন স্যান্ড্রা। প্রতিষেধকের প্রথম ডোজটি নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘সুড়ঙ্গ যতই অন্ধকার হোক না কেন, আলোর দেখা মিলবেই। আমি চাই সকলে নির্দ্বিধায় প্রতিষেধক নিন।’’
তাদের তৈরি প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে দাবি ফাইজারের। প্রথম ডোজটি নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে স্যান্ড্রাকে। তবে পরিস্থিতি বুঝে সময়ের ব্যবধান এদিক ওদিক হতে পারে।