ফাইল চিত্র।
সংক্রমণ বেশ কম। টিকাকরণ এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। করোনার পরবর্তী ঢেউ আসার আগে টিকাকরণ প্রায় শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে জো বাইডেনের আমেরিকা। এই অবস্থায় পুরনো ছন্দে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) কাল জানিয়েছে, যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের ঘরে-বাইরে মাস্ক না-পরলেও চলবে। আমরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও কর্মীদের উদ্দেশে ঘোষণা করেছে এ কথা। সিডিসি জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পড়ুয়ারা ফিরতে পারবে স্কুলে।
সিডিসি-র ডিরেক্টর রোশেল ওয়ালেনস্কি এ-ও জানিয়েছেন, আমেরিকা একটা বড় দেশ। দেশের সব অঞ্চলের অবস্থা এক নয়। কোথাও কোথাও সংক্রমণ এখনও বেশি রয়েছে। কিছু জায়গা টিকাকরণে পিছিয়ে রয়েছে। ফলে প্রাদেশিক সরকার মাস্ক পরা নিয়ে যা ঘোষণা করবে, সেটাই নিয়ম হবে। তিনি বলেন, ‘‘যত দিন না সকলে টিকা পাচ্ছেন, সাবধান থাকতেই হবে।’’
স্কুল চালু করা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে প্রশাসনের অন্দরে। ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘‘করোনা-পরীক্ষা, ভ্যাকসিন, স্ক্রিনিং— এ সবের যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে আমাদের হাতে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে। স্কুল খুলে দেওয়ায় আর বিপদ থাকবে না।’’ তিনি জানিয়েছেন, ছোট বাচ্চাদের উপরে ভাইরাসের প্রভাব ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, দুই-ই আরও ভাল করে জানা দরকার। তার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমেরিকায় এখন বাচ্চাদের উপরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। কিন্তু একেবারে ছোট বাচ্চাদের উপরে পরীক্ষা হতে দেরি আছে। গবেষকদের কথায়, ‘‘বয়সের অনেক ভাগ আছে। ১২ থেকে ৯ বছরের উপরে পরীক্ষা চলছে। ফল ভাল এলে ৬ থেকে ৯ বছর বয়সিদের উপরে ট্রায়াল হবে। সেটাও ভাল হলে ২ থেকে ৬। তার পর ৬ মাস থেকে ২ বছর।’’ আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, টি হাইস্কুলের পড়ুয়াদের টিকা দেওয়া হবে শীঘ্রই। তারা সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুলে ফিরতে পারবে। একেবারে ছোটদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হতে হতে বছরের শেষ। ও দিকে, ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক পিছিয়ে ২০২১-এ এসেছিল। কিন্তু এ বছরও যা পরিস্থিতি, তাতে অলিম্পিক হওয়া বিপজ্জনক। অনেকেই বলছেন, এখন অলিম্পিকের আয়োজন মানে ‘আত্মঘাতী হামলা’।