Pass-Fail System

কেন্দ্রের পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা নির্দেশের পর রাজ্যেও কি ফিরতে পারে পাশ-ফেল?

খাতায় কলমে এই প্রথা কার্যকর করার গেজেট নোটিফিকেশন থাকা সত্ত্বেও তা কেন স্কুল স্তরে চালু হয়নি, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষা দফতরের অন্দরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের পাশ ফেল প্রথা নিয়ে বিজ্ঞপ্তির পর রাজ্যের স্কুল স্তরেও এই প্রথা ফিরিয়ে আনার ভাবনা স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের। খাতায় কলমে এই প্রথা কার্যকর করার গেজেট নোটিফিকেশন থাকা সত্ত্বেও তা কেন স্কুল স্তরে চালু হয়নি, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষা দফতরের অন্দরে।

Advertisement

কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বাত্য বসু সমাজমাধ্যমে দাবি করেন, কেন্দ্র সরকার পাশ ফেল নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাতে যে পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা অনেক আগে থেকেই এ রাজ্যে চালু রয়েছে। শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে তা কবে থেকে চালু হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি। রাজ্যে একই ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞপ্তি আগে থেকে থাকলেও তা সমস্ত স্তরে এতদিনও কেন চালু হয়নি সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক বিবেচনা করেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ, পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ফের পাশ-ফেল ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখন যে নীতি গ্রহণ করছে, তা রাজ্যে আগে থেকেই চালু রয়েছে। কেন্দ্র আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতিকেই অনুসরণ করছে।

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ বিষয়ে বলেন, "আমরা এই বিষয়ে দফতরের সঙ্গে আলোচনা করব, মুখ্যমন্ত্রীকে পুর‌ও বিষয়টি রিপোর্ট আকারে জমা দেব। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবার নেবেন।"

যদিও শিক্ষামন্ত্রীর ওই দাবি ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। এর পরেই কি রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা পুনরায় চালু করার জন্য নড়েচড়ে বসছে শিক্ষা দফতর? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে শিক্ষা মহলে। যদিও পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এক দিকে বেশ কিছু শিক্ষক মনে করেন পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন অন্য দিকে এই প্রথা চালু হলে এ রাজ্যে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলেই মনে করেছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement