ফের সংক্রমণ বাড়ছে চিনে। —ফাইল চিত্র।
ফের সংক্রমণ বাড়ছে চিনে। করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে আবার লকডাউন শুরু করা হল চিনের ইজিন কাউন্টিতে। গৃহবন্দি করা হয়েছে বাসিন্দাদের। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, করোনার ডেল্টা স্ট্রেনের জেরে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ।
তবে সংক্রমণের সংখ্যাটা বিশ্বের অন্য প্রান্তের তুলনায় কিছুই নয়। সোমবার চিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ জন। কিন্তু গোড়াতেই সাবধান হতে চায় সরকার। তাই এই ব্যবস্থা।
চিনের ‘ইনার মঙ্গোলিয়া’ অঞ্চলে ইজিন কাউন্টি। এখানকার ৩৫ হাজার ৭০০ জন বাসিন্দাকে গৃহবন্দি করেছে সরকার। তাঁদের জানানো হয়েছে, ঘরের বাইরে পা ফেললেই আইনি শাস্তি। সামাজিক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনকে। এই মুহূর্তে ইজিনকে হটস্পট হিসেবে দেখছে চিন। সরকারের বক্তব্য, গত সপ্তাহে গোটা দেশ জুড়ে যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তার এক-তৃতীয়াংশ কোনও না কোনও ভাবে ছড়িয়েছে ইজিনের বাসিন্দাদের থেকে। গত কাল এ বিষয়ে দেশের স্বাস্থ্য কমিশন সতর্কবার্তা দিয়েছে। তাদের হুঁশিয়ারি, ১১টি প্রদেশে ক্রমেই পরিস্থিতি জোরালো হচ্ছে।
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের কর্তা উ লিয়ানগিউ জানান, রাজধানী বেজিংয়ের নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে। দেশের যে সব অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ রয়েছে, সেখান থেকে কোনও ব্যক্তিকে বেজিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের ঢুকতেই হবে বেজিংয়ে, তাঁদের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে। তা ছাড়া বেজিংয়ে ঢোকার পরে দু’সপ্তাহ নজরদারিতে থাকতে হচ্ছে।
গোটা বিশ্ব যখন বলছে, অতিমারি ক্রমশ এন্ডেমিক বা স্থানীয় রোগে পরিণত হবে, চিন তখনও স্থানীয় সংক্রমণ আটকানোয় বদ্ধপরিকর। সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ, সকলেই ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায়। এই সব দেশের বক্তব্য, করোনাভাইরাস থেকে যাবে বিশ্বে। একে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব নয়। কিন্তু ক্রমশ এটি শক্তি হারিয়ে স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। চিন অবশ্য কোভিড সংক্রমণকে ‘জ়িরো টলারেন্স পলিসি’ হিসেবে দেখছে। ৭৬ শতাংশ বাসিন্দার টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পাঁচটি প্রদেশ ঘোষণা করে দিয়েছে, ৩ থেকে ১১ বছরের বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই।