ভারতকে নিয়ে আশাবাদী হু। ছবি: পিটিআই।
পোলিয়ো এবং গুটি বসন্তের মতো অতিমারি কাটিয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতের। তাই নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পারলে তারাই পথ দেখাতে পারে গোটা বিশ্বকে। মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল জে রায়ানের।
কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা নিয়ে মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মাইকেল জে রায়ান। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। যেখানে জনবসতি বেশি, সেখানেই এই ভাইরাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হওয়া সম্ভব। তবে যেখানে প্রকোপ বেশি, সেইসমস্ত জায়গায় ল্যাবের সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে, গুটি বসন্ত এবং পোলিয়োর মতো দু’-দু’টি অতিমারি কাটিয়ে উঠতে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে ভারত। তাই এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে তাদের। কাজটা সহজ নয়। তবে যেহেতু পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাই নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের মতো দেশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’’
আরও পড়ুন: করোনায় ফের মৃত্যু দেশে, এ বার মুম্বইয়ে আমিরশাহি ফেরত বৃদ্ধের
আরও পড়ুন: এ বার উত্তর-পূর্বেও হানা করোনার, মণিপুরে আক্রান্ত বিদেশফেরত তরুণী
নোভেল করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ ছুঁই ছুঁই। এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন । ভারতেও এই কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এ দেশে ৪৯২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ন’জন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশের ৩২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন জারি করা হয়েছে।