—ফাইল ছবি।
ছত্তীসগঢ়ে বস্তার ডিভিশনে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে মাওবাদী-যৌথবাহিনীর গুলির লড়াই। পুলিশ সূত্রের খবর, বিজাপুর এবং সুকমা জেলার সীমানার জঙ্গল যৌথবাহিনী ঘিরে ফেলেছে। ‘ডিসট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’, ছত্তীসগঢ় পুলিশের ‘স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা সিআরপিএফের বিশেষ প্রশিক্ষিত মাওবাদী দমন বাহিনী ‘কোবরা’র কমান্ডোরা আছেন যৌথবাহিনীতে।
ওই এলাকার অদূরে বিজাপুর জেলার অম্বেলি গ্রামের পাশে বেদ্রে-কুতরু রোডে গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি উড়িয়ে দিয়েছিল নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। ‘ডিসট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড’ বাহিনীর আট জওয়ান এবং গাড়ির চালক ওই হামলায় নিহত হন। তার পরেই কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইন-সন্ধানী যন্ত্র এনে বস্তার ডিভিশন জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে বিজাপুর-সুকমার সীমানায় তল্লাশি অভিযান (নিরাপত্তা বাহিনীর পরিভাষায় ‘কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন’) চলাকালীন মাওবাদীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। প্রসঙ্গত, বুধবার সুকমা জেলার জঙ্গলঘেরা গ্রাম বেলপোচার অদূরে কোন্টা-গোলাপল্লি সড়কের তলায় মাওবাদীদের বসানো ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক-সহ আইইডি উদ্ধার করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশন জুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান।