ছবি রয়টার্স।
কিছু দিন আগেই আশার বাণী শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)— ‘‘রেকর্ড গতিতে গবেষণা চলছে। সামনের বছর বসন্তেই হয়তো বাজারে চলে আসবে করোনার প্রতিষেধক।’’ আজ একই আশ্বাস শোনা গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন’ (জিএসকে)-এর সিইও-র মুখে।
সংস্থার কর্ত্রী এমা ওয়ামসলে বলেন, ‘‘আমি আশাবাদী। সামনের বছরই সমাধান মিলবে। এখন সমস্যা হল, যে পরিমাণ প্রয়োজন, সেটা মিলবে নাকি।’’ একাধিক ভ্যাকসিনের ‘বুস্টার’ তৈরি করে জিএসকে। রক্তে যখন ভ্যাকসিনের প্রভাব কমে যায়, তখন তার কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয় বুস্টার। ফরাসি সংস্থা ‘সানোফি’-র সঙ্গে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক তৈরি করছে তারা। তাদের ‘ক্যানডিডেট’-ও আগামী বছর অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশায় এমা।
অনেকের প্রশ্ন, এত গবেষণা চললেও, কেন এখনও তৈরি হল না ভ্যাকসিন? গবেষকরা কিন্তু বারবার বলছেন, ‘‘নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি করতে নিয়মমাফিক যে ট্রায়াল প্রয়োজন, সেটা সম্পূর্ণ করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। সেখানে ঝড়ের গতিতে কাজ চলছে।’’ একই কথা বলছেন এমা। তাঁর কথায়, ‘‘১০ বছরের কাজ ২ বছরে শেষ করার চেষ্টা চলছে। তবে যে ভাবে সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে, সেটা অভাবনীয়।’’
মার্কিন ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নাও আজ জানিয়েছে, তাদের প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রিপোর্ট হাতে এসেছে। ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। জোরদার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে। ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’-এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।