শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতা হারানোর চার মাস পরে অবশেষে প্রতিরোধের রাজনীতির রাস্তা ধরল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। বুধবার ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দফায় দফায় খালেদা জিয়ার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন লীগ সমর্থকেরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, কাইচাইল ইউনিয়ন এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে, ৩০টিরও বেশি বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কাইচাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়াঁ এবং উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি তথা আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা জিন্নাহ সর্দার যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ সফর আলি প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’’
গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ঢাকা ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন হাসিনা। তার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ধারাবাহিক হামলার শিকার হচ্ছেন। বিএনপি, জামাতে ইসলামি এবং বিষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের একাংশের আক্রমণে শতাধিক আওয়ামী নেতা-কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। পাশাপাশি, অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ হাসিনার দলের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলেও অভিযোগ। নিষিদ্ধ হয়েছে দলের চাত্র সংগঠন ছাত্র লীগ। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের জেলা গোপালগঞ্জ-সহ কয়েকটি এলাকায় জমায়েত-প্রতিবাদ করলেও এই প্রথম রাস্তায় নেমে প্রতিরোধের পথে হাঁটল হাসিনার দল।