সিআইএসএফ বাজেয়াপ্ত করল প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কয়লা। —নিজস্ব চিত্র।
বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ইট ভাটা। তবে তার আড়ালে চলত টন টন চোরাই কয়লার কারবার। খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার ওই ভাটায় হানা দিয়ে সিআইএসএফ বাজেয়াপ্ত করল প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন কয়লা। পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের ঘটনা।
সিআইএসএফ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, কোলিয়ারির বনবহাল এলাকায় সোনপুর বাজারি প্রজেক্টের একটি ইট ভাটায় চোরাই কয়লা মজুত করা আছে। তার পরেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে অভিযান চালায় সিআইএসএফ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩৮১.৬ মেট্রিক টন কয়লা। আরও অভিযোগ, চোরাই কয়লা উদ্ধারের পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাটায় অপেক্ষা করা হলেও বিপুল পরিমাণ কয়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য ডাম্পার বা ট্রাক পাওয়া যায়নি স্থানীয় কেন্দা এরিয়া ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে। পরে অন্ডাল থানার পুলিশের ট্রাক্টর জোগাড় করে। তাতে করেই বাজেয়াপ্ত কয়লা তুলে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় কোলিয়ারির ডিপোতে (বহুলা) রাখা হয়। এই প্রসঙ্গে সিআইএসএফের সহকারী কমান্ড্যান্ট (এসি) কুলজেন্দর মোউন বলেন, ‘‘কয়েকশো টন চোরাই কয়লা মজুতের খবর এসেছিল গোপন সূত্রে। অভিযান চালিয়ে ইট ভাটার ভেতর থেকে অনেকগুলি বস্তা উদ্ধার করা হয়। তাতেই মজুত ছিল বিপুল পরিমাণ চোরাই কয়লা।’’ তাঁর অনুমান, দীর্ঘ দিন ধরেই ভাটার আড়ালে অবৈধ কয়লার কারবার চলছিল। ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল অপারেশন) নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘ এই ধরনের খবর পেলেই তল্লাশি চালানো হয়। চোরাই কয়লা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়।’’
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘এত পরিমাণ চোরাই কয়লা জমা হল, তা সিআইএসএফ ও পুলিশ আগে কেন দেখেনি ? এ ভাবে দেশের সম্পত্তি লুটপাট যারা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।’’