Supreme Court

সব আদালতে বিশেষ ভাবে সক্ষম ও রূপান্তরকামীদের জন্যও থাকবে পৃথক শৌচালয়: সুপ্রিম কোর্ট

দেশের প্রতিটি প্রান্তে সব আদালতে পুরুষ, মহিলা, রূপান্তরকামী এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য পৃথক শৌচালয় থাকতে হবে। সব হাই কোর্ট, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এ নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৮
Share:

পুরুষ, মহিলা, রূপান্তরকামী এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সব আদালতে পৃথক শৌচালয়ের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। — প্রতীকী চিত্র।

প্রত্যেক আদালতে পুরুষ, মহিলা, রূপান্তরকামী এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক শৌচালয় নিশ্চিত করতে হবে। এক জনস্বার্থ মামলায় বুধবার এ কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সব হাই কোর্ট, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ওই জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি চলছিল বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক শৌচালয় নির্মাণ হলে মহিলা এবং রূপান্তরকামীদের গোপনীয়তা রক্ষা হবে। একই সঙ্গে তাঁদের উদ্বেগও দূর হবে। শীর্ষ আদালত প্রত্যেক হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে, আদালত চত্বরে এই ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে দিকে নজর রাখার জন্য। আদালত চত্বরে ওই শৌচালয়গুলি বিচারক, আইনজীবী, মামলাকারী এবং অন্য আদালতকর্মীরা ব্যবহার করতে পারছেন কি না, তা-ও দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টগুলিকে।

এর জন্য প্রতিটি হাই কোর্টে একটি করে কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির মনোনীত কোনও বিচারপতি হবেন ওই কমিটির প্রধান। এ ছাড়া হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার, রাজ্যের মুখ্যসচিব, পূর্তসচিব, অর্থসচিব, বার অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি এবং অন্য আধিকারিকদের রাখতে বলা হয়েছে কমিটিতে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক হাই কোর্টে এই কমিটিগুলি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কমিটির কী কাজ থাকবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। প্রতিদিন গড়ে কত জন আদালতে আসেন তার উপর ভিত্তি করে শৌচালয় তৈরির বিষয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক শৌচালয় নির্মিত হচ্ছে কি না এবং সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে এই কমিটিকে। এই শৌচালয় নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলিকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকার অঙ্ক পর্যালোচনা করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেক হাই কোর্ট, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এ বিষয়ে একটি স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement