India

মায়ানমারে চিনা মদত জঙ্গিদের

সম্প্রতি তাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে কয়েক জনের গ্রেফতারির ঘটনায় গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ওই গ্রেফতারির পরে তাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জেরায় প্রকাশিত তথ্য জানিয়েছেন মায়নমারকে। কূটনৈতিক চ্যানেলে তা জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকেও। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি

মায়ানমারের অশান্ত রাখাইন প্রদেশে চিন- পাকিস্তান যৌথ ভাবে উস্কানিমূলক কাজকর্ম করছে। মায়ানমার সরকারের সূত্রে এই খবর এসেছে বিদেশ মন্ত্রকে। বিষয়টি সাউথ ব্লকের কাছে উদ্বেগের। কারণ, জানা গিয়েছে সেখানে কালাদান মাল্টি মোডাল প্রকল্প-সহ ভারতের বিভিন্ন সম্পত্তিকে নিশানা করা হচ্ছে।

Advertisement

সম্প্রতি তাইল্যান্ড-মায়ানমার সীমান্তে কয়েক জনের গ্রেফতারির ঘটনায় গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ওই গ্রেফতারির পরে তাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ জেরায় প্রকাশিত তথ্য জানিয়েছেন মায়নমারকে। কূটনৈতিক চ্যানেলে তা জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকেও।

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, জুনের শেষে মায়ানমার সীমান্ত থেকে আসা অস্ত্র বোঝাই একটি জাহাজের খবর পায় তাই নিরাপত্তা বিভাগ। তাদের আটক করে দেখা যায়, সেটি আধুনিক চিনা অস্ত্রে বোঝাই। তদন্তে দেখা যায়, ওই জাহাজের অন্তিম গন্তব্য ছিল রাখাইন প্রদেশ। সেখানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির জন্যই যাচ্ছিল ওই অস্ত্র। পাঠাচ্ছিল চিন। ওই প্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়া কালাদান প্রকল্পটিকে আক্রমণ করাই ছিল আরাকান আর্মির কর্মসূচিতে।

Advertisement

কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পটি কলকাতা থেকে রাখাইন-এর সিতোই বন্দরের সঙ্গে যুক্ত। গোটা অঞ্চলটির আর্থ সামাজিক উন্নতির জন্য এই যোগাযোগ প্রকল্পটির গুরুত্ব যথেষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তদন্তে জানা গিয়েছে এই কাজে চিনের পাশাপাশি পাকিস্তানের এক জন নাগরিকও অস্ত্র পাচারের কাজে সরাসরি জড়িত ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement