চিনে ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা। ছবি: এএফপি।
শিশুদের মধ্যে ‘রহস্যময়’ নিউমোনিয়ার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমছে চিনে। তবে এখনও স্বস্তিতে নেই চিন। বিশেষজ্ঞদের হুঁশিয়ারি, চলতি শীতে দেশে থাবা বসাতে পারে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ।
বেজিংয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, শহরের চিকিৎসাকেন্দ্রে শিশুদের মধ্যে ফ্লু, অ্যাডিনো ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনশিয়াল ভাইরাসের প্রকোপ খুব বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। তিয়ানজিন, সাংহাইয়েও শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। গত সপ্তাহেই চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছিল, শিশুদের ক্ষতি করে, এমন মাইক্রোপ্লাজমার সংখ্যা কমলেও শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে এমন প্যাথোজেনের আবির্ভাব হতে পারে। এই শীত থেকে আগামী বসন্ত পর্যন্ত এই আশঙ্কা রয়েছে।
চলতি মাসে চিনে কিন্ডারগার্টেন এবং প্রাথমিকের পড়ুয়াদের মধ্যে নিউমোনিয়ার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে বহু শিশু এই সমস্যা নিয়ে ভর্তি। তার পরেই চিনের থেকে এ বিষয়ে বিশদ জানতে চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। চিন জানিয়েছে, চেনা জীবাণুর কারণেই শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ছড়িয়েছে। মাইক্রোপ্লাজমা নিউমোনিয়া মূলত এর জন্য দায়ী। এই ভাইরাসের কারণে বাচ্চাদের সর্দি হয়। তবে তুলনামূলক কমবয়সি শিশুদের গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
এই নিউমোনিয়ায় কাশির উপসর্গ নেই বললেই চলে। প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের প্রদাহ এবং শরীরে ব্যথা হচ্ছে। বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশের শিশু হাসপাতালগুলিতে এই উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে বহু শিশুকে। অনেক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করা হয়েছে। এই নিউমোনিয়া সংক্রামক কি না, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই রোগ সে ভাবে ছড়ায়নি। করোনা অতিমারির পর এই রোগ নিয়ে নতুন করে চিনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হু কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। ফ্লু, কোভিড ও ফুসফুসের অন্যান্য রোগের টিকা নিয়ে রাখা, অসুস্থদের থেকে দূরে থাকা এবং অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার কথা জানিয়েছে তারা। আপাতত চিনে যাওয়ার বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। তবে অসুস্থদের অন্য জায়গায় পাড়ি দিতে বারণ করেছে হু।