ফাইল চিত্র।
চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের ফলে অনেক আর্থিক ভাবে দুর্বল দেশ ‘গোপন ঋণ’-এর ফাঁদে জড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করল আমেরিকার এক বিশেষজ্ঞ সংস্থা। তাদের দাবি, চিনের কাছে এই দেশগুলির অজানা ঋণের পরিমাণ ৩৮,৫০০ কোটি ডলার।
সংস্থাটি জানিয়েছে, চিন মোট ১৬৩টি দেশে রাস্তা, সেতু, বন্দর ও হাসপাতাল তৈরিতে মোট ৮৪,৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার অনেক দেশ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ সংস্থা জানিয়েছে, ৮৪,৩০০ কোটি ডলারের ৭০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বা চিনা ও সে দেশের সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোনও সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক আর্থিক ভাবে দুর্বল দেশের সরকারই আর ঋণ নিতে পারেনি। ফলে অন্য পথে হেঁটেছে চিন। তারা কয়েকটি সংস্থার জোটকে ঋণ দিয়েছে। সেই জোটে সরাসরি সে দেশের সরকার নেই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলির জোট ঋণ মেটাতে না পারলে সরকার ঋণ মেটানোর দায় নিয়েছে। ফলে চিনের কাছে ওই দেশগুলির প্রকৃত ঋণ কত তা অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছেই স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞ সংস্থাটি জানিয়েছে, ৪৫টি দেশের চিনা ঋণের পরিমাণ তাদের গড় জাতীয় উৎপাদনের ১০ শতাংশের চেয়ে বেশি।
পাকিস্তানের বালুচিস্তানের মতো প্রদেশে বিপুল চিনা বিনিয়োগ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ রয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই প্রকল্পের ফলে তাঁদের লাভ হয়নি। বালুচিস্তানে চিনা প্রকল্পকে একাধিক বার নিশানা করেছে জঙ্গি সংগঠন।