প্রতীকী ছবি।
চিনের উহানে করোনার সংক্রমণের খবরের লাইভস্ট্রিম করার অভিযোগে এক ‘সিটিজেন জার্নালিস্ট’কে ৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিল চিনের আদালত। গত মে থেকে ঝ্যাং ঝান নামে ওই সাংবাদিককে আটক করে রাখে চিন প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘দেশের অভ্যন্তরের ঝগড়াঝাটি প্রকাশ্যে এনে সমস্যা তৈরির’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে চিনের উহান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল করোনাভাইরাসের। ভয়ানক সেই পরিস্থিতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন ঝান। অভিযোগ তুলেছিলেন, সরকার এই মারণ রোগ নিয়ে যথাযথ তথ্য দিচ্ছে না মানুষকে। তার পরই প্রশাসনিক রোষের মুখে পড়েন ঝান। সরকার বিরোধী কাজ করার অভিযোগ এনে তাঁকে আটক করে প্রশাসন। আরও ৮ জনকে একই অভিযোগে আটক করা হয়। ঝানের এই ‘অপরাধ’-এর জন্যই ৪ বছর জেল হল। গত জুন থেকেই অনশন শুরু করেছেন ঝান।
এর মধ্যে ঝানের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝানের আইনজীবী রেন কুয়ানিউ। তিনি বলেন, “ঝান আমাকে বলেছেন, সরকার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।”
করোনাভাইরাস নিয়ে চিনের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে যে, এটা এক ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র। চিন সেই অভিযোগকে প্রতি বারই খারিজ করেছে। যদিও সেই অভিযোগের প্রামাণ্য তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সেই দাবিকে নস্যাৎ করেছে। কিন্তু তার পরেও প্রশ্ন থেকে গিয়েছে কোথা থেকে এল এই ভাইরাস। এটা আদৌ কোনও রাসায়নিক অস্ত্র কি না তা নিয়ে তদন্তের জন্য চাপ বাড়তে থাকে। শেষমেশ গত কয়েক দিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল উহানে যায় তদন্তের জন্য। তবে, উহান থেকে করোনা ছড়ালেও চিন কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছ। এর ফলে দেশের অর্থনীতিরও তেমন ক্ষতি হয়নি।