—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রাথমিক স্কুলের ২৫ খুদে পড়ুয়ার খাবারে বিষ মেশানোর অভিযোগ উঠেছিল স্কুলেরই এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছিল। চার বছর আগের সেই ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হন শিক্ষিকা। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলায় চিন সরকার। শুক্রবার চিনের সরকারি সংবাদপত্রে ফাঁসির ঘটনাটি স্বীকার করা হয়েছে।
ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষিকার নাম ওয়াং উন। বয়স ৩৯। ২০২০ সাল থেকে হেনান প্রদেশের আদালতে মামলা চলছিল ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন শিক্ষিকা। তার পরই তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দিনই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ওয়াংকে।
ঘটনার সূত্রপাত স্কুলের অন্য এক শিক্ষকে সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে। ২০১৯ সালের মার্চে ওয়াং সোডিয়াম নাইট্রেট কিনে আনেন। তার পর স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের জন্য রান্না করা খাবারে সেই রাসায়নিক মিশিয়ে দেন। তাতে বিষক্রিয়া হয়ে এক পড়ুয়ার বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। আরও ২৫ জন খুদে পড়ুয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কী ভাবে খুদে পড়ুয়াদের বিষক্রিয়া হল, তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই তদন্ত চলে। অবশেষে এই ঘটনায় শিক্ষকের জড়িত থাকার সূত্র খুঁজে পান তদন্তকারীরা। কিন্তু তত দিনে স্কুল থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াং। সেই শিক্ষককেই বৃহস্পতিবার ফাঁসিতে ঝোলাল চিন।