—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিতাবাঘকে বাইকে পিছনে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে বনদফতরে হাজির হলেন এক যুবক। তার পর তাদের হাতে তুলেও দেন তিনি। চিতাবাঘটিকে বাইকের সঙ্গে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও এতে ওই যুবকের কোনও দোষ দেখছেন না বন দফতরের আধিকারিকেরা।
তাঁদের যুক্তি, আত্মরক্ষার স্বার্থেই এ কাজ করেছেন ওই যুবক। শুধু তাই-ই নয়, তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, বাঘটিকে মারার চেষ্টা করেননি যুবক। কিন্তু সেটিকে যে ভাবে নিয়ে আসা হয়েছে, সেই ভাবে আনা উচিত হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে পড়লে কী ভাবে বাঘকে বন দফতরের হাতে তুলে দিতে হবে, সে বিষয়ে তাঁকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি কর্নাটকের হাসন জেলার বাগিভালু গ্রামের। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মুথু। শুক্রবার সকালে খামারে গিয়েছিলেন তিনি। খামারে ঢুকেই দেখেন সেখানে একটি চিতাবাঘ ঘোরাঘুরি করছে। গ্রামে চিতাবাঘ ঢোকার খবর চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়ায়। গ্রামবাসীরা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা আসার আগেই চিতাবাঘটি মুথুর উপর হামলা করে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। কিন্তু মুথু সেই চিতাবাঘটিকে কৌশলে ফাঁদে ফেলেন। তা করতে গিয়ে আহতও হন। কিন্তু চিতাবাঘটিকে ফাঁদে ফেলার পরই দড়ি দিয়ে পা বেঁধে ফেলেন। তার পর বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাইকের পিছনে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যান। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। মুথুর এই কাজের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। কিন্তু বন দফতর মুথুর পাশেই দাঁড়িয়েছে।
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “মুথুর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু যে ভাবে বাঘটিকে নিয়ে এসেছেন, তা তাঁর সচেতনতার অভাবের কারণেই হয়েছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, চিতাবাঘটির বয়স ন’মাস। এই ঘটনায় সেটিও আহত হয়েছে। চিতাবাঘটির চিকিৎসা চলছে। সেটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।