ফাইল চিত্র।
করোনার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে চিন। কোথাও একটাও সংক্রমণের খোঁজ মিললে, কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। হয় লকডাউন না হলে কন্টেনমেন্টের কড়াকড়ি চালু রেখেছে। আক্রান্তদের ধাতব বাক্স-সম কুঠুরিতে বন্দি করে করোনা রোখার নয়া-ফন্দি সম্প্রতি প্রকাশ্য এসেছে। সেই চিনের রাজধানী বেজিংয়ে সম্প্রতি এক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলায় রীতিমতো তদন্ত শুরু করেছিল প্রশাসন। সেই সূত্রে এ বার কানাডা থেকে আসা চিঠির উপরে সংক্রমণের দায় চাপিয়েছে তারা!
তাদের দাবি, ৭ জানুয়ারি কানাডা থেকে আসা একটি চিঠি পেয়েছিলেন আক্রান্ত। সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই সূত্রেই। বেজিংয়ের সেন্টার ফর ডিজিজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল-এর ডেপুটি ডিরেক্টর প্যাং শিংহুয়ো বলেছেন, কর্মস্থলে ওই আক্রান্তের কাছে বিদেশ থেকে প্রায়ই চিঠি আসে। যে সমস্ত কর্মীরা ওই চিঠির সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা সকলেই কোয়রান্টিনে।
তবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এ ভাবে বস্তুবাহিত হয়ে সংক্রমণের ঘটনা খুবই বিরল। চিঠির মতো নির্জীব বস্তুতে ভাইরাস বেশি দিন জীবিত থাকতে পারে না। এ ভাবে সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে বিশ্বের তাবড় চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশই সহমত নন। তবু সাবধানতায় ফাঁক রাখতে চায় না চিনের প্রশাসনে। ফলে বাইরে থেকে আসা যে কোনও জিনিস নেওয়ার সময়ে দস্তানা এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে, আমেরিকায় শিশুদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ওমিক্রনের জেরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা
দ্রুত বাড়ছে।