Child Murder

শিশুকন্যাকে ৬ টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দিলেন অপহরণকারী! মুক্তিপণ চাইতে না পেরে খুন

বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ৫ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ। মুক্তিপণ চাইতে না পেরে মেয়েটিকে গলা টিপে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। দেহ টুকরো করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় জলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩৯
Share:

অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশে আলিনা ইসলাম আয়াত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আবির মিঞার বাবা, মায়ের ৩ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করল আদালত। ৫ বছরের শিশু আলিনাকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে কেটে তার দেহাংশ সাগরের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবিরকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁর বাবা, মা এবং এক বোনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে।

Advertisement

ধৃতরা হলেন, আবিরের বাবা আজহারুল ইসলাম এবং মা আলো বেগম। পুলিশ ধৃতদের ৭ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আলিনা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআই। আবিরের বোনকে শিশু আদালতে তোলা হয়েছিল। তবে তার রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর হয়নি। আদালতের নির্দেশ, তাকে কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা।

আলিনা ইসলাম আয়াত। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবারই অভিযুক্ত আবিরের আরও ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় হেফাজতে রয়েছেন আবির। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের খুঁটিনাটি জানতে চাইছে পুলিশ। দাবি, ইতিমধ্যে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ছোট্ট আলিনাকে অপহরণের পর তার অভিভাবকের কাছে মোটা টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল আবিরের। কিন্তু, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। আলিনাকে অপহরণ তিনি করেছিলেন ঠিকই, তবে তার পর তাঁর মোবাইল ফোন খারাপ হয়ে যায়। ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল। তা করা যায়নি। মেয়েটি কান্নাকাটি করে বিরক্ত করায় তাকে খুন করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন আবির।

গত ১৫ নভেম্বর আলিনাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে আনা হয়। শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য আলিনার দেহ ৬ টুকরোতে ভাগ করেন আবির। সাগরে ভাসিয়ে দেন দেহাংশ। ২৫ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement